আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার খাসকররার তিওরবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক তারই ছাত্রদের হাতে বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন। ছাত্রীদের উত্যক্ত করতে নিষেধ করায় শিক্ষককে মারধর করে ওই বখাটে ছাত্ররা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ৬/৭ জন বখাটেকে সাথে নিয়ে ওই ছাত্র সহকারী শিক্ষকের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় হামলার শিকার সহকারী শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সহকারী শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, স্কুল শুরু এবং ছুটির সময় একই স্কুলের সাবেক ছাত্র বখে যাওয়া সোহান কয়েকজন বখাটেকে নিয়ে স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েদের প্রতিদিন উত্যক্ত করে। গত ৬ তারিখে শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম মেয়েদের উত্যক্ত না করতে সোহানকে নিষেধ করেন। এতে সে শিক্ষককে গালমন্দ করে এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। সোহানের সাথে তিওরবিলা গ্রামের কিছু উশৃংখল ও বখাটে থাকায় শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম ভয় পেয়ে যান। তিনি স্কুলের শিক্ষকদের পরামর্শে ওই দিনের ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে পরদিন থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। এতে সোহান ও তার বখাটে সহযোগীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা গতকাল মঙ্গলবার স্কুল শুরুর আগে থেকেই স্কুল গেটে অবস্থান নেয়। গতকাল পৌঁনে ১০টার দিকে শিক্ষক রাশিদুল স্কুলে প্রবেশের সময় তার উপর হামলে পড়ে বখাটেরা। সোহান ও তার সহযোগী বখাটেরা বেদম পিটাতে থাকে রাশিদুলকে। এসময় আশপাশের লোকজন ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ স্থানীয় বখাটে উপজেলার তিয়রবিলা গ্রামের মসলেম হোসেনের ছেলে মোজাম্মেলকে আটক করে। লজ্জাজনক এ ঘটনার পর হতবিহ্বল হয়ে পড়েন শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম। এরপর তিনি গতকাল সন্ধ্যায় স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে নিয়ে আলমডাঙ্গা থানায় এসে সোহানসহ ৬ বখাটের নাম উল্লেখ করে আবারও অভিযোগ দায়ের করেন।
খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাসফির আহমেদ মল্লিক লাল বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রশাসন যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করেন তিনি। আলমডাঙ্গার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, লাঞ্ছিত শিক্ষক অভিযোগ দিয়েছেন। একজন আটক হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।