নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ১নং জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন ১১ জন ইউপি সদস্য (মেম্বর)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার কাছে এ অনাস্থা প্রস্তাবের পত্র দাখিল করা হয়।
দাখিলকৃত অনাস্থা প্রস্তাব পত্রে মেম্বররা যে সকল অভিযোগ উল্লেখ করেছেন তা হলো, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রতি মাসে মাসিক সভার আহ্বান করার নিয়ম থাকা স্বত্বেও অত্র ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘ তিন মাস যাবৎ কোন সভা আহ্বান করা হয়নি। এমনকি চেয়ারম্যান নিজ বাড়িতে বসে ইচ্ছে মতো অফিসিয়াল কাজ করে, যাহার কারণে জনসেবা মারাত্মকভাবে বিঘনিত হচ্ছে। পরিষদের বিভিন্ন বরাদ্দ যেমন টি.আর, কাবিখা, কাবিটা ইত্যাদি নিজ ইচ্ছা মতো প্রকল্প তৈরি করে খাদ্যশষ্য/টাকা আতসাৎ করে আসছে। উল্লেখ্য যে, অত্র ইউনিয়ন পরিষদে উল্লেখিত প্রকল্পের কোন ক্রীম নাই। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করে আসছে। তাদের নামে রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট ইত্যাদির নামকরণ করার নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করছেনা। অত্র ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয় এর হিসাবপত্র সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদেরকে অবহিত করেন না। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিডব্লিউ কার্ড নং: ১৬৫, কার্ড নং: ৩৭, কার্ড নং: ৪৩ সহ মোট ১৮ জন সুবিধাভোগীর নামে কার্ড থাকলেও উক্ত সুবিধাভোগীরা আজ পর্যন্ত কোনপ্রকার সুবিধা পায় নাই। উল্লেখিত দুর্নীতির কারণে আমরা আমাদের স্ব-স্ব ইউনিয়ন/ওয়ার্ডের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিকভাবে করতে পারছি না। যাহার কারণে অত্র ইউনিয়নের জনসাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রস্তাব সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য নির্বাহী অফিসারের প্রতি অনুরোধ করা হয়।
অনাস্থা প্রস্তাব দাখিলকারী মেম্বররা হলেন, ১নং ওয়ার্ড সদস মখলেছুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ডের খোকন আলী, ৩ নং ওয়ার্ডের আলমগীর হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম, সদস্য, ৬ নং ওয়ার্ডের রতন আলী, ৭নং ওয়ার্ডের আলামিন, ৮ নং ওয়ার্ডের মঈনুল ইসলাম, সদস্য ৯নং ওয়ার্ডের ইমরান হোসেন, ১ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য নূর জাহান বেগম, ২নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের রাশিদা খাতুন ও ৩ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সোনিয়া আক্তার।