নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদ, মূল্যবিহীন ক্ষতিকর রঙ মেশানো খাদ্য পণ্য বিক্রয় ও পণ্যের ক্রয় ভাউচার না রাখার অপরাধে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, বড় বাজারের মেসার্স সুমন স্টোরে তেল চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক শ্রী সাধন সাধুখাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় ৫ হাজার টাকা, মেসার্স অন্তর স্টোরের মালিক অন্তর হোসেনকে একই অপরাধ ও ধারায় ৩ হাজার টাকা, মেসার্স মুরাদ স্টোরের মালিক মুরাদ মুন্সিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার পাশাপাশি মেয়াদ, মুল্যবিহীন ক্ষতিকর রঙ মেশানো খোলা চিপস বিক্রয়ের অপরাধে ৩৭ ও ৩৮ ধারায় ৪ হাজার টাকা, মেসার্স সুকুমার স্টোরের মালিক শুভন কুমারকে ৩৮ ধারায় ৩ হাজার টাকা, মেসার্স মানিক স্টোরের মালিক তিজারত মন্ডলকে ৩৮ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে সবজির খুচরা বাজার তদারকি করা হয়। এসময় মেসার্স জামান ভান্ডারের মালিক রবিউল ইসলামকে পণ্যের ক্রয় ভাউচার না রাখা ও খুচরা মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ১ হাজার টাকা এবং মেসার্স বিসমিল্লাহ ভান্ডার নামক পেঁয়াজের আড়তে পেয়াজের ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৪৫ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এসময় সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রয়, ভাউচার সংরক্ষণ ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। তেলের হ্রাসকৃত নতুন মুল্য কার্যকর করতে সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা পুলিশের একটি টিম।