নিজস্ব প্রেতিবেদক:
ভারতে চার দিনের সরকারি সফরের বিষয়ে আগামী বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার বিকেল ৪টায় তার ভারত সফরপরবর্তী প্রেস কনফারেন্স করবেন। তবে কোথায় এই সংবাদ সম্মেলন হবে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। শেখ হাসিনা বিদেশ সফর করলে বরাবর সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন। এতে সফরের বিষয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দেন। পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাব দেন। সেই প্রশ্নোত্তর পর্বে সাধারণত রাজনৈতিক বিষয়গুলোই প্রাধান্য পায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী দেশটি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে নয়া দিল্লি পৌঁছান তিনি। সেখানে তাঁকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ও বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। সফরের দ্বিতীয় দিন ৬ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লির ‘হায়দরাবাদ হাউস’-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক হয়। ওইদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসময় তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। স্মারক সই শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দেন। ওইদিন রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) সমাধিতেও শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। সফরের তৃতীয় দিন ৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। সফরের শেষ তথা চতুর্থ দিন ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমিরে হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির (র.) দরগা জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নফল নামাজ আদায় এবং দোয়া ও মোনাজাত করেন এবং দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন তিনি। পরে ওইদিনই চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন রাত ৮টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।