সরোজগঞ্জ প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গা তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মনোনয়ন ফরম তোলাকে কেন্দ্র করে খাসকররা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান (রুন্নু) ও খাসকররা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাফছির আহমেদ মল্লিক (লাল) দু’ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই এলাকায়। আহতরা হলেন- তিয়রবিলা গ্রামের মৃত ইবত আলীর ছেলে আলম হোসেন (৪৫) ও একই গ্রামের মাছিদুলের ছেলে ফরহাদ হোসেন (নয়ন) (২১) ও আবু তালেব।
স্থানীয়রা জানায়, তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে আলম হোসেন, ফরহাদ হোসেন, আবু তালেব নামে তিন জন আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ বিষয় তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী ফরম উঠানোর দিন ছিল। সকাল ৯ টার দিকে আমি বিদ্যালয়ে থাকাকালিন কেউ তখন মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করতে আসেনি, এমনকি দুপুর যখন ২ টা বাজে তখনোও কেউ মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করতে আসেনি। সকাল সাড়ে ৯ টারদিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি চেয়ারম্যান তাফছির আহমেদ মল্লিক লাল সাহেবকে নিয়ে ছাত্র ছাত্রীর নিয়ে খেলার মাঠে এ্যাসেমবিলি করতে যায়। তখন জানতে পারি বিদ্যালয়ের বাইরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। পরে পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি চেয়ারম্যান তাফছির আহমেদ লাল জানান, ম্যানেজিং কমিটির মনোনয়ন পত্র তোলার দিন ছিল রবিবার। সকালের দিকে বিদ্যালয়ের বাইরে দুই গ্রুপের মধ্যে মনোনয়ন পত্র তোলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। কিছু লোকজন আহত হয়েছে।
তিয়রবিলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তাপস সরকার জানান, তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মনোনয়ন পত্র ফরম তোলাকে ঘিরে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাফছির আহমেদ মল্লিক লালের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবেশ শান্ত করি। তবে কয়েকজন আহত হয়েছে। এদিকে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আব্দুল গনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।