নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জেলা শহরের বিশেষ করে ভিজে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও কাজ করতে হবে। জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রধান সড়কের ধারে ট্রাক রাখার কারণে পথচারিদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তেমনই বাড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। ফলে যতো দ্রুত সম্ভব ট্রাক টার্মিনালে ট্রাক রাখার ব্যবস্থা করতে পৌর মেয়র দ্রুত পদক্ষেপ নিলে সকলে উপকৃত হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, মানব পাচার প্রতিরোধ, আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা, পাবলিক পরীক্ষা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত দখলমুক্ত ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়।
সভায় গত সভার কার্যবিবরণি উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান। উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গায় সদ্য যোগকৃত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা উপপরিচালক শরিয়ত উল্লাহসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধানগণ।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আইনশৃঙ্খলা অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে বলে মন্তব্য করে অনেকেই বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকদের পাশাপশি অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কোন শিক্ষার্থী যাতে স্কুলে আসার নাম করে বিভিন্ন পার্কে যেতে না পরে সে দিকে শিক্ষকদের নজর রাখতে হবে। কোন শিক্ষার্থী স্কুলে না আসলে সে স্কুলে শিক্ষক অভিভাবকদের জানানোর বিষয়ে বলেন। সামনে শারদীয় দূর্গা পূজা। আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে নজরদারী বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।