নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় আবারও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রার অস্বাভাবিক ওঠা-নামায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ জেলায়। যা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ।
এদিকে, কুয়াশা না থাকায় দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের তীব্রতা। শহরের সবজি বিক্রেতা রহমত আলী বলেন, কয়েকদিন পর আজ সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম থেকে খুব সকালে শহরে কাঁচামাল বিক্রি করতে হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না।
অপরদিকে, শীতজনিত কারণে রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীও বাড়ছে। প্রতিদিন শীতজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের তেতুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাছে। আজ শনিবারও একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। আগামী ১৫-১৬ তারিখের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।