আলমডাঙ্গা অফিস:
গভীর রাতে সড়কের সরকারী মূল্যবান কিছু শিশুগাছ কেটে নেওয়ার সময় সঙ্ঘবদ্ধ গাছ চোরচক্রের ৮ জনকে হাতেনাতে আটক করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। সংশ্লিষ্ট মামলায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক টাকার একটি মোটা শিশুগাছ ও ইলেকট্রিক করাতসহ গাছ কাটার নানা সরঞ্জাম। শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এদিকে, সকাল হতে না হতেই আটক চোরদের মুক্ত করতে কিছু নেতা থানায় অপতৎপরতা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের কুমারী-শ্যামপুর পাকা সড়কে শিশুসহ বেশ কিছু বড় বড় গাছ রয়েছে। সঙ্ঘবদ্ধ গাছ চোরচক্রের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ওই গাছগুলোর প্রতি। গত শুক্রবার দিনগত রাত দুটোর দিকে সঙ্ঘবদ্ধ ওই চোরচক্র শ্যামপুর সড়কের সবচে বড় শিশু গাছটি কাটা শুরু করে। এ সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় চোরচক্রের কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ৮ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
তারা হলেন, আলমডাঙ্গার কামালপুরের আজিজুল হকের ছেলে বাপ্পী, একই গ্রামের মৃত মঞ্জুর রহমানের ছেলে ফারুক, পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জের মজনুর ছেলে জসিম, নওদা দূর্গাপুরের সিরাজ মালিথার ছেলে খলিল মালিথা, দুর্গাপুরের মৃত নবাই মন্ডলের ছেলে হানিফ, কামালপুরের মৃত জিয়ারুলের ছেলে শাফায়েত, শ্যামপুরের মৃত রেজাউলের ছেলে জিনারুল ও পৌর এলাকার থানাপাড়ার জামসেদ আলীর ছেলে শহিদুল আলম রবি। এ সময় ইলেকট্রিক করাতসহ গাছ কাছ কাটার কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার একটি শিশুগাছ উদ্ধার করে। রাতে গাছটি পুরোপুরি কাটতে না কাটতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। অধিকাংশ কাটা অবস্থায় সারাদিন গাছটি দাঁড়িয়ে থাকলেও বিকেলের বয়ে যাওয়া হঠাৎ দমকা হাওয়ায় তা মাটিতে পড়ে যায়। দ্রুত পুলিশ না পৌঁছলে চক্রটি আরও অনেক মূল্যবান গাছ কেটে নিত বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী মন্তব্য করেন। তারা জানান, বিভিন্ন গ্রামের ১৫/১৬ জন চোর একত্রিত হয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সরকারি সড়কের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে এলাকার প্রভাবশালীমহলের অনেকের সুসম্পর্ক রয়েছে। এদিকে, এ চোরচক্রকে মুক্ত করতে সকাল থেকে দুপুর অবধি কতিপয় নেতা থানায় অপতৎপরতা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।