আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রাম থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গ্রামের মাঠের একটি গাছের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত তরিকুল ইসলাম তিয়রবিলা গ্রামের কুঠিপাড়ার শাহজাহান আলীর ছেলে। মাস খানেক আগে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শম্ভুনগর গ্রামে বিয়ে করেন। নববিবাহিত বধু বিয়ের এক মাস পরেই তরিকুলের সাথে আর সংসার করবে না জানিয়ে দিলে তিনি অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। নিখোঁজের তিনদিন পর লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তরিকুল ইসলাম এক মাস আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শম্ভুনগর গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নববধুকে নিয়ে নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে গত সপ্তায় তরিকুল স্ত্রীকে আনতে আবারও শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় নববধু তরিকুলের সাথে আর সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এতে ভীষন মনোকষ্ট নিয়ে তরিকুল বাড়ি ফিরে আসেন। গত বুধবার বাড়ি ফিরেই তিনি নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তরিকুলের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তিয়রবিলার মাঠের একটি ছোট বাগানের মধ্যে তরিকুলের গলায় ফাঁস লাগানো লাশ পড়ে থাকতে দেখেন মাঠের কৃষকরা। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারনা করছেন, গত বুধবারের কোন এক সময়ে তরিকুল মাঠের ওই বাগানে পাটের আঁশ গলায় পেঁচিয়ে তেতুল গাছের ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। বাগানটি অপ্রচলিত হওয়ায় তিনদিন ধরে কারো চোখে পড়েনি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মাঠের কৃষকরা তরিকুলের লাশ গাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাঠ থেকে পাটের আঁশ সংগ্রহ করে গলায় পেঁচিয়ে তরিকুল গাছের ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তিনদিনের মধ্যে আঁশ ছিড়ে লাশ নিচে পড়ে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান জানান, তরিকুল বৈবাহিক জীবনে ভুল বোঝাবুঝির কারনে আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।