নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন ও অ্যাড. রবিউল ইসলাম। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে দু’প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন।
ঘোষণায় ওই দুই প্রার্থী বলেন, অন্য প্রার্থীদের খরচের কাছে টিকে থাকা সম্ভব নয় এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে আমরা প্রচারণা বন্ধ করেছি। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করে প্রার্থীরা বলেন, দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন এবং প্রার্থীদের সাথে বৈরীতা অসহযোগীতা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এমনকি দল থেকে আমাদের কোন আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়নি। তাই একার পক্ষে এত খরচ বহন করাও সম্ভব নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কাছ থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এবং ২৬ জন প্রার্থী ইচ্ছামত সুবিধা আমাদেরকে ভোটারদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন ও নিন্দিত করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাপা প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোন বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন পান দলের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. রবিউল ইসলাম। দুজনই নিজ নিজ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন এবং বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেন। দুটি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের পোস্টারও লাগানো হয়। মাইকিং প্রচারও শুরু হয়। কিন্তু নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে সকল ধরনের প্রচারণা থেকে বিরত এবং ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।