জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার জবেদা খাতুন (৭৫) নামের এক বৃদ্ধা ধারালো বটি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে ২২ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে আন্দুলবাড়ীয়া ঘরামিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পারিবারের সদস্যরা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী জবেদা খাতুনের ৭ মেয়ে সন্তান। কোন ছেলে সন্তান না থাকায় স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মেয়ে-জামাইদের বাড়ীতে থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। তিনি গত ১২ বছর ধরে আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামে ঘরামিপাড়ায় জামাতা শফিকুল ইসলামের বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন। এ অবস্থায় বৃদ্ধা জবেদা খাতুন বয়সের ভারে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। ২২ ডিসেম্বর রাত তিনটার দিকে মানসিক অশান্তির কারণে রান্না ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে নিজের গলায় পোচ বাঁধিয়ে মারাত্মক ভাবে জখমের পর যন্ত্রণায় ছটফট করলে তার মেয়েসহ অন্যান্যরা ঘটনা টের পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২৪ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মারা যায়। জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানা একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।