নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭ আওয়ামী লীগ নেতা। গতকাল বুধবার ঢাকা ধানমন্ডির দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন তারা। আজ (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সংগ্রহ এবং জমাদানের শেষ দিনের মধ্যে আরো অন্যরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দেয়ার সুযোগ পাবেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক শেখ সামসুল আবেদীন খোকন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে যে কোনো নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলের কোনো সাংগঠনিক কাঠামোতে না রাখারও সিদ্ধান্ত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলের পদ-পদবিও পাচ্ছেন না। এ কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নাম প্রস্তাবিত তালিকায় রাখা হয়নি। সে হিসেবে, চুয়াডাঙ্গার প্রশাসক শেখ শামসুল আবেদিন খোকনের নামও নেই সম্ভাব্য তালিকায়। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে তিনি দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজুর বিরুদ্ধে জয় পান। আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের সংক্ষিপ্ত তালিকায় চুয়াডাঙ্গা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ ও দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর নাম জানা গেছে। স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও বর্তমান প্রশাসক শেখ শামসুল আবেদীন খোকন। এরমধ্যে শেখ শামসুল আবেদীন খোকন গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেন। এ জন্য দলের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাঁর নাম রাখা হয়নি।
গত ২০১৬ সালে নির্বাচিত জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন না করে গত এপ্রিলে চেয়ারম্যান পদগুলোতে সরকার প্রশাসক বসায়। সব জেলায় বিদায়ী চেয়ারম্যানদেরই আবার প্রশাসক পদে বসানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর ভোটের দিন ধার্য রয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৯-২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২-২৪ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর।