নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোমবার রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। এই সফরে সাত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এবারের সফরে কী কী আলোচনায় আসবে—এমন প্রশ্নের জবাবে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘অনিষ্পন্ন বিষয়ে’ কী করে এগোনো যায়, ‘গতিশীল সম্পর্ক’ কী করে সুসংহত করা যায় এবং দ্বিপক্ষীয় ‘বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ’ কী করে মোকাবিলা করা যায়, সেসব বিষয় আলোচনায় আসবে। ‘স্থিতিশীলতার স্বার্থে’ বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া সম্পর্কিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের সূত্রে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এবারের বৈঠকে আলোচনা করা হবে কি-না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয় নয়।’ এদিকে সফরকে সামনে রেখে এএনআই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। সাক্ষাৎকারে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতির সম্ভাবনা আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অবস্থান ভাটিতে বলে শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করেন। পানি ভাগাভাগির ‘সমস্যা ভারতে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পানি যেহেতু ভারত থেকে আসে, ভারতের উচিত আরও উদার হওয়া। এতে দুই দেশই লাভবান হবে। পানির অভাবে আমাদের দেশের মানুষকে অনেক ভুগতে হয়। বিশেষ করে তিস্তা নিয়ে অনেক সমস্যা হয়। ফসল ফলানো যায় না। আমি মনে করি, এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’ পানি সমস্যার সমাধান ভারতের ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে তিনি দ্বিতীয়বার উল্লেখ করেন যে, ‘ভারতের উচিত উদার মানসিকতা দেখানো।’