মহেশপুর প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের কচুয়ারপোতা গ্রামের মমিনুর রহমানের প্রতিবন্ধী মেয়ে নয়নতারাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেন এর বিরুদ্ধে। জানা যায়, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে ৫০ টাকার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে আমজাদ হোসেন। অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন ডালভাঙ্গা গ্রামের শের আলীর ছেলে। এদিকে ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। শুধু তা-ই নয়, ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ইয়া নবীকে জানানোর পরও এখনো কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ মন্তব্য দেখা গেছে। জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ১০-১২ বছরের মানষিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী বাড়িতে কান্না কাটি শুনে পাশের বাড়ি আপন খালা ও তার মা জিজ্ঞাসা করলে তখন মেয়েটি বলেন, কাঠ কাটা আমজাদ আমাকে ৫০ টাকা দিয়ে আমার সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এনিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই ওই এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পরের দিন রাতে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে তার চাচাতো ভাই সাতপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার স্বামী ইসরাইল এবং অভিযুক্ত আমজাদ ৩১ শে আগষ্ট বুধবার রাতে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীরের বাড়িতে গিয়ে এক হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জোর করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। এদিকে কিশোরী পারিবারিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় থানায় অভিযোগ দিতে পারছে না বলে জানা গেছে। কিশোরীর মা বলেন, অভাবের সংসার আমার ছেলে সন্তান না থাকায় আমি স্বামীর জন্য মাঠে সকালের ভাত দিয়ে এসে বাড়িতে ফিরে দেখি আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে কান্না করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় ডালভাঙ্গা গ্রামের কাঠ কাঠা আমজাদ ৫০ টাকা দিয়ে ৩০ আগষ্ট সকালে আমাদের রান্না ঘরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর বিচার চেয়ে অনেকের কাছে গেলেও আজও কেউ বিচার করেনি। আমরা অসহায় গরীব বলে আমাদের ইজ্জতের কোন দাম নেই। এবিষয়ে অভিযুক্ত আমজাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় ঘটনার পর থেকে সে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। কাজিরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়া নবী, বলেন ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টি ভুক্তভোগী পরিবার দুই দিন আগে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। আমি দুই দিন ধরে ব্যস্ত থাকার জন্য আমি বিষয়টি দেখতে পারিনী, কিন্তু ইউপি সদস্য ইয়া নবী গাইনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম কি করেছে আমি জানিনা। মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।