নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ওএমএস ও টিসিবির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা (এফটিএমইউ) ধীমান সেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ কে এম শহিদুল হক, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন, নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান, ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) ফকরুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বিভিন্ন উন্নত দেশেও এখন খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। আমাদের সরকার ভর্তুকি দিয়ে কম মূল্যে চাল বিতরণ করছে। টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য পাচ্ছে। টিসিবি কার্ডের আওতায় চাল ছিল না। এখন কার্ডধারীরা চাল পাবে।
সবমিলিয়ে টিসিবি, ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫শ পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যদ্রব্য পাচ্ছেন। সরকারের একটিই লক্ষ্য, মানুষ যাতে খাদ্য পায়, কষ্টে না থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। চাল বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। আমরা চাইবো, সকলের সম্মিলিত সহযোগীতায় চুয়াডাঙ্গাতে এই মহৎ কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে চলবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, যারা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলো। এখন তারাই সেই কথা উইথড্র করছে। তারা এখন বলছেন, ‘বাস্কেট কেস ইজ নো মোর’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে বিশেষ নজর দিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো করছেন। সেই কাজের ধাবাহিকতায় আজকে আমরা-আপনারা সুবিধাভোগী।
উল্লেখ্য, ১৭ টি ডিলারের মাধ্যমে জেলায় বৃহস্পতিবার ৩৪ মেট্রিকটন চাউল ৬ হাজার ৮শ জন নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরন করা হবে। টিসিবির কার্ডধারীরা প্রতিমাসে ২ বার ৫ কেজি করে চাল নিতে পারবে ৩০ টাকা কেজি দরে। ওএমএসের আওতায় শুক্রবার ও শনিবার ব্যতিত সপ্তাহে ৫ দিন ৫ কেজি করে চাউল বিক্রি করা হবে।