নিজস্ব প্রতিবেদক:
খোলা বাজার থেকে বেশি দামে চাল কিনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সারাদেশের সাথে চুয়াডাঙ্গাতেও ১৫ ও ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম। ৩০ টাকার এই চাল বিক্রি করবেন ওএমএস ডিলাররা। এবার টিসিবির কার্ডধারীরাও এই চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। চাল কেনায় অগ্রাধিকার পাবেন তারা। একজন একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। এবার জেলায় উপকারভোগী রয়েছেন ৩১ হাজার ৯৩৪ জন। ডিলার রয়েছেন ৭২ জন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চালের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষকে মূল্য সহায়তা প্রদান করতে সরকার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের মানুষকে মূল্য সহয়তা দেয়া এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুক্র ও শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত এ চাল বিক্রি করা হবে। খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি ডিলার পয়েন্টে ক্রেতাদের পৃথক দু’টি লাইন থাকবে। একটি লাইনে দাঁড়াবেন সাধারণ ক্রেতা, অপর লাইনে টিসিবির কার্ডধারীরা। টিসিবির কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল দিতে হবে। কারণ টিসিবির কার্ডধারীরা মাসে দু’বার পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। অপরদিকে, সাধারণ ক্রেতারা প্রতিদিন কিনতে পারবেন পাঁচ কেজি করে চাল। ডিলারের কাছে একদিনের চালের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলে ক্রেতাকে পরের দিন আসার অনুরোধ করতে হবে। টিসিবির কার্ডধারীদের চাল প্রদানের পর কার্ডের পিছনে নমুনা সিল দিতে হবে অথবা পাঞ্চিং মেশিন দিয়ে কার্ডের উপরে প্রতিবারের জন্য একটি ছিদ্র করে দিতে হবে। ওএমএস বিক্রয় কেন্দ্র সহজে চেনার জন্য দোকানের সামনে লাল রঙের ব্যানার ঝুলিয়ে রাখতে হবে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে বিকেল ৫ টা এমনকি চাল বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে। ওইসময় তদারকি কর্মকর্তারা ওএমএস কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম শহীদুল হক বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমূল্যে খাদ্যসহায়তা দিতে ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ (বিক্রি) কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিবছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মোট পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলে। এবার চুয়াডাঙ্গায় উপকারভোগী রয়েছেন ৩১ হাজার ৯৩৪ জন এবং ডিলার ৭২ জন। তিনি আরও বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অনিয়ম দূরীকরণ, তালিকা সঠিকভাবে তৈরি ও ডুপ্লিকেশন রোধ করতে ডিজিটাল ডেটাবেজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।