নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা সেতু চালুর পরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের রুটগুলোয় নৌযাত্রী কমার পাশাপাশি আয়ও কমেছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সৈয়দা রুবিনা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান। এ দিন সংসদ অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সড়কপথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নৌপথে চলাচলের সময় বেশি প্রয়োজন হওয়ায় ঢাকা-চাঁদপুর, ঢাকা-ইলিশাসহ কয়েকটি নৌপথ ছাড়া প্রায় সব নৌপথে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে চলাচলকারী ৮৭টি লঞ্চ, ১৫৫টি স্পিডবোটের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি ঢাকা নদীবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী প্রতিদিন গড়ে ৮৫/৯০টি লঞ্চ চলাচল করত, বর্তমানে সেখানে গড়ে ৬০/৬৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।
তবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নৌপথে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে বিআইডব্লিউটিসির রকেট/স্টিমার যাত্রী সংখ্যা অতিমাত্রায় কমে গেছে। এছাড়া মাওয়া-মাঝিকান্দি ফেরিরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে দৌলতদিয়া ফেরি রুটেও যানবাহন চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এতে সংস্থার রাজস্ব আয়ও কমেছে।