কার্পাসডাঙ্গা প্রতিবেদক:
নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে বিকাশ থেকে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা। বিত্তশালী থেকে শুরু করে গরীব, দীন মজুরেরাও ছাড় পাচ্ছে না প্রতারক চক্রের হাত থেকে। অথচ এবিষয়ে উদাসীন সংশ্লিষ্ট কোম্পানী এবং মোবাইল ব্যাকিং কর্তৃপক্ষ। এমনি ঘটনা ঘটেছে দামুড়হুদার কুনিয়া চাঁদপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেণীর ছাত্র সানমুন হোসেনের। সে উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরের দিকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য ফোন করে বলে তুমি কুনিয়া চাঁদপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র নাম সানমুন হোসেন। সরকারি ভাবে দেয়া তোমার উপবৃত্তির ১৮ হাজার টাকা তোমার বিকাশে যাচ্ছেনা তুমি তোমার নিজের বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার ৩০০টাকা বিকাশ করো। এক সঙ্গে ৩৩ হাজার ৩০০টাকা তুলে নিবে। একথা বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেয়। পরবর্তী প্রায় ১০মিনিট পর ফোন দিয়ে বলেন তাড়াতাড়ি তোমার নম্বরে টাকা বিকাশ করো আমরা লাইনে আছি। একথা শোনার পর সানমুন বিকাশের দোকানে গিয়ে ১৫ হাজার ৩০০ টাকা নিজের নম্বরে বিকাশ করার সাথে সাথেই হ্যাক করে টাকা নিয়ে নেয় ও মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী দু’জন জানান, অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না কাস্টমার কেয়ারে অনেকে অভিযোগ করে বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনকারী ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটির কারণে উধাও হচ্ছে মোবাইল একাউন্টে থাকা অর্থ। একজন বিকাশ এজেন্ট জানান, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর দূর্বলতার কারণে হর হামেশাই এমন টাকা উধাও ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ব্যস্ত সময়ে চোরেরা ফেক ম্যাসেজ দিয়ে এজেন্টদের কাছে টাকা চেয়ে বসে। ধরা পড়লে পিছন থেকে আরেকজন টাকা পাঠিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে। এমন ঘটনা কার্পাসডাঙ্গা বাজারের বেশ কয়েকটি এজেন্টদের সাথে ঘটেছে। বিকাশের এমন দূর্বল সিস্টেমের কারণে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য লাভে অধিক অর্থ লেনদেনে ধরা খাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বিকাশের ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছে।