দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন। শনিবার (২৭ আগষ্ট) বিকেলে তিনি বন্দর চেকপোস্ট এলাকা পরিদর্শন করেন। বন্দরে পৌঁছুলে পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর তিনি নবনির্মিত ইমিগ্রেশন ভবন ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে পরিদর্শন বহিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় দুটি ফলদ বৃক্ষ রোপন করেন। এরপর সীমান্তে শুন্য রেখায় যান। সেখানে দাঁড়িয়ে ভারতের গেঁদে ও বাংলাদেশের দর্শনা বন্দরের অবকাঠামো নির্মানের প্রস্তাবিত জায়গাগুলো সর্ম্পকে সন্মুখ ধারনা নেন। চেকপোস্ট পরিদর্শনের সময় এসপি আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ইমিগ্রেশন পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতে গমনাগমনকারী প্রত্যেক নাগরিকের সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করতে হবে। জয়নগর চেকপোস্ট ব্যবহারকারী সম্মানিত সিটিজেনগণ পরবর্তী সময়ে পুলিশ সম্পর্কে যেন নেতিবাচক/বিরূপ মন্তব্য না করতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে। কালো তালিকাভুক্ত কেউ যেন ইমিগ্রেশন দিয়ে গমনাগমন করতে না পারে সেদিকে সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) মহোদয়ের পাঁচটি নির্দেশনা সর্বদা মেনে চলতে হবে। অপেশাদার ও অমানবিক আচরণ পরিহার করতে হবে। সর্বদা দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। এছাড়াও চেকপোস্টের মেসে উন্নতমানের খাবার সরবরাহ, দাপ্তরিক সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন, ফোর্সের ব্যারাক পরিস্কার পরিছন্ন এবং চাহিদার প্রেক্ষিতে ফোর্সের ছুটি ছাড়তে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার তপন চন্দ্র দে, দামুড়হুদা ও জীবনগরের সার্কেল এসপি মুন্না বিশ^াস, দর্শনা থানার ওসি লুৎফুল কবির, বিজিবির আইসিপি পোস্ট কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, কাস্টমস সুপার মহসীন আলী, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মাহবুব, দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার আহমদ আলী, বিজিবির হাবিলদার সিরাজ, দর্শনা ইমিগ্রেশন অফিসার (এসআই) আবু নাঈম, এসআই মাহমুদ ও বন্দর বাস্তবায়ন কমিটির সেক্রেটারি সাংবাদিক রেজাউল করিম লিটন প্রমুখ।