নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামে ছাগলের পিপিআর ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশনায় পিপিআর ভ্যাকসিন প্রদান করেন পদ্মবিলা ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান।
এসময় তিনি বলেন, পিপিআর হচ্ছে ছাগলের একটি জীবনঘাতী রোগ। এ রোগ হলে ছাগলের জ্বর, মুখে ঘা, পাতলা পায়খানা, শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। অনেক সময় অসুস্থ ছাগলটি মারাও যেতে পারে। এ রোগটি সচরাচর দেখা যায় ছাগল এবং ভেড়াতে। তিনি বলেন, অসুস্থ ছাগলের চোখ, নাক, মুখ থেকে নিঃসৃত হয় তরল ও ছাগলের পাতলা পায়খানা হবে। আক্রান্ত ছাগলের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সে রোগ সুস্থ ছাগলকে আক্রান্ত করতে পারে। আক্রান্ত ছাগলের হাঁচি-কাশির মাধ্যমেও এ রোগ সুস্থ ছাগলকে আক্রান্ত করতে পারে। পানি, খাদ্য পাত্র এবং অসুস্থ ছাগলের ব্যবহৃত আসবাবপত্র দিয়েও এ রোগ ছড়াতে পারে। তাই সঠিক সময়ে পিপিআর ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি ৪/৫ মাস পরপর প্রত্যেকটি ছাগলের নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গার “রিসো এনজিও” এর বাস্তবায়নে “দরিদ্র নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাঁচা ঘরে ছাগল পালন কর্মসূচি” এর আওতায় হোগলডাঙ্গা গ্রামে ১৪টি হতদরিদ্র নারীর পরিবারে ২৮টি ছাগল প্রদান করা হয়। এই দিন ২৮টি ছাগলসহ এলাকার আরো অনেক ছাগলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।