দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বেগমপুরের কোটালী গ্রামের এক নববধূকে ভাগিয়ে নেওয়ার সময় কালে সাগর নামের এক প্রেমিকসহ তার বোন জামাই গ্যাড়াকলে পড়েছে। এসময় স্থানীয় জনতা প্রেমিক সাগর ও বোন জামাইকে উত্তম-মধ্যম শেষে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে। পরে তারা মুচলেখা মুক্ত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের দর্শনা পাড়ায়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নের গোষ্টবিহার এলাকার হাফিজুর রহমানের মেয়ে নুসরাত সুলতানা উর্মির সাথে গত ২০ দিন পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় একই উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের দর্শনা পাড়ায় শাহাদৎ হোসেনের ছেলে আলিহীমের (৩২) সঙ্গে। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও কথায় আছে প্রয়োজন কোন আইন মানেনা। নুসরাত তার সঙ্গে পূর্বের প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠা প্রেমিক তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারী পাড়ার মন্টু মিয়ার নাতি ও জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে সাগর আলীর (১৮) যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। ফলে প্রেমিকা নুসরাতের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রেমিক সাগর আলী উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের জামাত আলীর ছেলে তার বোন জামাই বিপ্লবকে সাথে নিয়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রেমিকার শ্বশুর বাড়ির গ্রামে যায়। এসময় প্রেমিক আসার খবর পেয়ে প্রেমিকা নুসরাত শ্বশুর বাড়ি থেকে বাহির হয়ে যায়। সেন্দেহ দেখা দেওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার পিছু নেয়। এসময় দু’যুবকের সঙ্গে নববধূ নুসরাত সুলতানা উর্মি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদেরকে আটক করে। পরে আটক হওয়া প্রেমিক সাগর মিয়া ও বোন জামাই (বোনাই) বিপ্লবকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে দর্শনা থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে সাগর আলী, বোন জামাই বিপ্লব হোসেন, নববধূ নুসরাত সুলতানা উর্মি ও স্বামী আলিহীমকে দর্শনা থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন গতকাল শনিবার দুপুরে দর্শনা থানায় উভয় পরিবারের অভিভাবকেরা উপস্থিত হয়ে মুচলেকার মাধ্যমে আটককৃত ব্যক্তিরা মুক্ত হয়।
দর্শনা থানার এসআই হারুন অর রশিদ জানায়, তারা নিজেদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নেবে এমন প্রতিশ্রুতির ফলে মুচলেকার মাধ্যমে তাদের অভিভাবকদের হেফজতে ছেড়ে দেওয়া হয়।