শেখ লিটন:
হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় সাপ্লাই পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। আগের বিলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে নতুন নির্ধারণ করা বিল। গতকাল মঙ্গলবার থেকে জুলাই মাসের বিল বিতরণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। জুলাই মাস থেকেই ধার্য করা হয়েছে নতুন বিলের হার। গতকাল বিল হাতে পেয়ে হতবাক হন অনেক গ্রাহক। তারা লক্ষ্য করেন, বিলের অংক বেড়ে গেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার জন্য পানির গ্রাহক আছে দু’ধরণের। একটি আবাসিক, অন্যটি বাণিজ্যিক। আগে আবাসিকের সর্বনিম্ন বিল ছিল ১৬০ টাকা। সেই বিল বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০ টাকা। বাণিজ্যিক বিল সর্বনিম্ন ছিল ২৫০ টাকা। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০০ টাকা। বাণিজ্যিক বিল সর্বনিম্ন ছিল ৭০০ টাকা। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১০০ টাকা।
মাসিক পানির বিল ও পানি সংক্রান্ত অন্যান্য খরচ বাড়ানো হলেও তা পৌরবাসিকে আগে জানানো হয়নি। মঙ্গলবার জুলাই মাসের বিল হাতে পেয়ে গ্রাহকরা নতুন নির্ধারণ করা পানির বিল সম্পর্কে জানতে পারেন।
পানির মাসিক বিল বৃদ্ধি প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী নেতা অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী বলেন, এভাবে পানির বিল বাড়ানো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। গ্রাহকদের কথা বলার অধিকার থাকা উচিত ছিল। তা না করে হঠাৎ বিল বাড়ানো যুক্তিযুক্ত নয়। পৌর কর্তৃপক্ষ এটা ঠিক করেন নি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নকর্মি জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজন হলে যুক্তিসংগত দাম বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সেবার মান বেড়েছে কিনা তা দেখতে হবে। পানির বিলের ক্ষেত্রে গ্রাহক যতোটুকু পানি ব্যবহার করছেন সেই অনুপাতে বিল নেওয়া উচিৎ। পানির মিটার সংযোগের উদ্যোগ নিয়েছিল পৌর কর্তৃপক্ষ তা ভেস্তে গেছে। গ্রাহকদের বাড়িতে বাড়িতে লাগানো মিটার চালু হওয়ার আগেই চুরি হয়ে গেছে। সামান্য বিল বাড়লে কথা ছিল না। বিল অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রাহকদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল।
হঠাৎ পানির বিল বাড়ার প্রসঙ্গে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন যুক্তি দিয়ে বলেন, সব কিছুর খরচ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে। না বাাড়িয়ে কোনো উপায় ছিল না। নিরুপায় হয়ে আমরাও বাড়িয়েছি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাড়াতে হয়েছে।