স্পোর্টস ডেস্কঃ
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর এই ফরম্যাটে যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলেছে টাইগার ক্রিকেটাররা। একের পর এক ম্যাচ হেরেই যাচ্ছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজেও সঙ্গী হয়েছে ব্যর্থতা। এমতাবস্থায় আসন্ন এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে চিন্তিত বিসিবি। গুঞ্জন ছিল দীর্ঘ দিন ধরে ক্রিকেটের এ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বদলে দলের নেতৃত্বের দায়ভার পেতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। অবশেষে তাই সত্য হল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পেলেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার।
দীর্ঘ বৈঠকের পর বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেন। আসন্ন এশিয়া কাপ, ট্রাইনেশন সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। ২৭ আগস্ট শুরু হতে যাচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। এ টুর্নামেন্টের জন্য ৮ আগস্ট দল ঘোষণা করার শেষ সময় ছিল। কিন্তু ইনজুরিতে জর্জরিত টাইগার ক্রিকেটারদের জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছ থেকে তিনদিন সময় বাড়িয়ে নিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু সে সময়ের মধ্যেও দল ঘোষণা করতে পারেনি টাইগার ক্রিকেট বোর্ড।
নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হয় সাকিব আল হাসান বেটিং সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে। বিসিবির কঠোর অবস্থানের পর চুক্তি বাতিল করে সাকিব। অবশেষে এশিয়া কাপের দল ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেন দেশ সেরা এ অলরাউন্ডার। এশিয়া কাপের দল ও অধিনায়কত্বের বিষয়সহ সমসাময়িক সব কিছু নিয়ে বৈঠকের জন্য বিকেল ৩টার দিকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় গিয়েছিলেন সাকিব। বৈঠকে ছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। সর্বশেষ ১৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র দুইটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রাম দিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু তাতেও ভাগ্য বদল হয়নি টাইগারদের। সেই হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি দল। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এবার আসন্ন এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অধিনায়ক করা হয়েছে দেশ সেরা অলরাউন্ডারকে। সাকিবের হাত ধরে কি বাংলাদেশ পারবে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে!