সাজিদ হাসান সোহাগ:
চুয়াডাঙ্গার বাজারে সব নিত্যপন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দাম। মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রতি হালিতে (৪পিচ) ৮ টাকা (প্রতি পিচ দুই টাকা)। খুচরা ৪০ টাকা হালির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়।
ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির খাদ্যের দাম বেশি ও বাজারে ডিমের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে ডিমের দাম। গতকাল শুক্রবার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে মুরগির প্রতিটি খাদ্যের বস্তা ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০০-৩০০০ হাজার টাকায়। বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৬০০-৮০০ টাকা। আবার বাজারে ডিমের সরবরাহ কমে গেছে। যে কারণে হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে ডিমের দাম। একমাস আগে ডিমের হালি ছিলো ৩০ থেকে ৩২ টাকা। এরপর সেই ডিম ৩২-৩৪ টাকা হালি, পাইকারি নিয়ে ব্যবসায়ীরা তা খুচরা বিক্রি করছেন ৩৮-৪০ টাকা হালি। হঠাৎ করে মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়ে গতকাল প্রতি হালি (৪পিচ) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি পিচে দাম বেড়েছে দুই টাকা। হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ছেন খুচরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।
কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ডিম কিনতে আসা শাহরিয়ার বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। আজ (গতকাল) ডিম কিনতে যেয়ে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে প্রতি পিচে দুই টাকা। গত শনিবার-রবিবারে ডিমের হালি কিনলাম ৩৮-৪০ টাকা। আজ সেই ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। এখন বাজারের হিসাবটা কেমনে মিলাই বুঝতে পারছি না। একমাস আগে ডিম নিয়েছিলাম ৩২ টাকা হালি, আবার এক সপ্তাহ আগে নিলাম ৩৮-৪০ টাকা হালি, আজ সেই ডিমের হালি ৪৮ টাকা।
কার্পাসডাঙ্গা বাজারের একজন ডিম বিক্রেতা বলেন, মুরগির খাদ্য বস্তার দাম বাড়া ও ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। যার কারণে হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়েছে। এতে আমাদের বেচাকেনা অনেক কমেছে এবং ক্রেতাদের সাথে অনেক কথা বলতে হচ্ছে। বর্তমান ডিমের দাম বেশি। ৪৪-৪৫ টাকা হালি পাইকারি নিয়ে এসে তা ৪৮ টাকা হালি দামে খুচরা বিক্রি করছি। এক দুই দিনে ডিমের দাম আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।