ধর্ম ডেস্কঃ
সুগন্ধি বা আতর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পছন্দের বিষয়গুলোর একটি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন এবং কেউ সুগন্ধি হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করতেন, কখনো ফেরত দিতেন না।
হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘চারটি বস্তু সব নবীর সুন্নত-আতর, বিয়ে, মিসওয়াক ও লজ্জাস্থান ঢেকে রাখা’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২৪৭৮)।
পৃথিবীতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় বস্তুগুলোর একটি সুগন্ধি। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের দুনিয়া থেকে আমার কাছে তিনটি জিনিস অধিক প্রিয়। নারী, সুগন্ধি আর আমার চক্ষু শীতল হয় নামাজের মাধ্যমে’ (নাসায়ি, হাদিস : ৩৯৩৯)।
আতর সবসময় ব্যবহার করা যায়। সাধারণ সময়ের মতো রমজান মাসেও আতর, পারফিউম ব্যবহার করা যাবে, এতে কোনও বাধা নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে আতর ও পারফিউমে ধোঁয়ার মত কিছু না থাকে অর্থাৎ পেটে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ থাকা যাবে না!
ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা (আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটির ফতওয়াসমগ্র)-
যে ব্যক্তি রমজানের দিনের বেলায় রোজা অবস্থায় কোনো প্রকারের সুগন্ধি ব্যবহার করেছে তার রোজা নষ্ট হয়নি। তবে উদ্ভিদজাতীয় বস্তু থেকে ঘ্রাণ শোঁকা ও গুঁড়ো সুগন্ধি যেমন গুঁড়ো মিশক থেকে ঘ্রাণ নিবে না। (কেননা এগুলো পেটে ঢুকে যাওয়ার আশংকা থাকে।) (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১০/২৭১)