স্পোর্টস ডেস্কঃ
দীর্ঘ ২১ বছর পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এটি হবে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের ৪০০তম ম্যাচ। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতেই ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ফলে ২০০১ সালের পর আবারও জিম্বাবুয়ে কাছে হোয়াইটওয়াশের মুখে পড়েছে টাইগাররা।
এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচে অলরাউন্ডার রাজার দারুণ নৈপুণ্য জয়ের দেখা পায় জিম্বাবুয়ে। ৩ উইকেট নেয়ার পর অপরাজিত ছিলেন ১১৭ রানে। তার কাছেই সিরিজ হারতে হলো বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে ৭৫ বলে ১০২ রান করে বাংলাদেশকে হারানোর পথে অনেক বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক রেগিস চাকাভা।
ওয়ানডে ফরম্যাটের ইতিহাসে এর আগে দু’বার জিম্বাবুয়ের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো বাংলাদেশ। ২০০১ সালে প্রথম দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো টাইগাররা। এরপর পূর্ণ শক্তির জিম্বাবুয়ে আর কখনও বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। তবে জিম্বাবুয়ের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বাংলাদেশ। যা কোন দলই কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে পারেনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮০ ম্যাচে ৫০টিতে জয় এবং ৩০টিতে হার বাংলাদেশের। তবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে দলে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে টাইগাররা। পেসার শরিফুল ইসলামের জায়গায় একাদশে সুযোগ হতে পারে আরেক পেসার এবাদত হোসেনের।
আজ সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ড থেকে সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশের একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি-স্পোর্টস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশের ‘এ’ দল।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ নাইম, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাইজুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে দল: রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক), তানাকা চিভাঙ্গা, লুক জংওয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধভের, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়ুচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও শন উইলিয়ামস।