আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাবে ক্লাস না নেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার বেলা ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদের সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানের কারণে বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবে টাকা নিলেও ক্লাস না নেওয়া, টয়লেট অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন ও নিম্নমানের সিট বেঞ্চসহ নানা অভিযোগ তুলে শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে থানা পুলিশ । ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তোমাদের সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, পরে ছাত্ররা তাদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করে।
উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি ঘোষণার পর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দেওয়ার নাম করে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন। তবে, সরকারি করণে কোন দপ্তরে টাকা লাগেনি। বিষয়টি স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নজরে আসলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত ৩০ জুলাই শনিবার শিক্ষকরা ঔক্যবদ্ধ ভাবে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের নিকট টাকা ফেরৎ পেতে চড়াও হন। পরবর্তীতে ৩ লক্ষ টাকা ফেরৎ দিয়ে মিমাংস হয়। একই সময় অভিযোগ ওঠে করোনাকালীন দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও পরীক্ষা বাবদ প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা কালেকশন করেন প্রধান শিক্ষক। এসব টাকা তিনি তসরুপ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। একই সাথে প্রতি মাসে স্কুলের দোকান ভাড়া ৩৭ হাজার টাকারও কোন হদিস নেই বলে জানান শিক্ষকরা। শিক্ষকরা এসব টাকারও হিসাব চান। তবে শিক্ষকদের উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করেন প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান।