নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নীল এর আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪,৫,ও ৬নং ওয়ার্ডে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল, মোজা ও পথশিশুদের মাঝে মোজা ও কম্বল বিতরন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে এসব শীত বস্ত্র বিতরণ করেন সংগঠনটির সদস্যরা। ঢাকাস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নিলের সদসরা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪,৫,ও ৬নং ওয়ার্ডে ১৫০জন শীতার্ত মানুষের মাঝে ১৫০টি কম্বল ও ১৫০ টি মোজা বিতরন করে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমী মাঠে ৫০ জন পথশিশুর মাঝে কম্বল ও মোজা বিতরন করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বপ্নিলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফয়সাল হক, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্বপন মিয়া ও নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দীন হোসেন। এছাড়া কম্বল বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সংগঠন ওরাও বাঁচতে চায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল মুরছালিন মালিক আকাশ, চুয়াডাঙ্গা ফাউণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলিফ হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা ফাউণ্ডেশনের সভাপতি হাদিয়ুজ্জামান প্রান্ত প্রমুখ।
স্বপ্নিলের প্রতিষ্ঠাতা ফয়সাল হক বলেন, ‘স্বপ্নিল যেহেতু মানুষের স্বপ্ন নিয়ে লড়ে, সেহেতু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের স্বপ্ন পূরনে স্বপ্নিল কাজ করে থাকে এবং চুয়াডায়াঙ্গা বাসীর যে কোন মানবিক কার্যক্রমে স্বপ্নিল সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে চেষ্টা করবে।’
উল্লেখ্য-স্বপ্নিল দিনাজপুরের আরও ১৫০টি পরিবারের মাঝে কম্বল ও মোজা বিতরণ করবে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শেরপুর ও জামালপুরে একই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দেশের প্রতান্ত অঞ্চলে গত বছর এই সংগঠনটি ১হাজার ৪০০টি কম্বল বিতরন করেছে। এছাড়া এই সংগঠনটি করোনাকালীন কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রান ও খাবার বিতরণ করেছে। দুঃস্থ্য নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দিয়েছে সেলাই মেশিন। ভীক্ষাবৃত্তি রোধে কর্মসংস্থানের সৃষ্টির জন্য দিয়েছে ভ্যান ও রিক্সা। করোনা পরবর্তী এই সংগঠনটি পরিচালনা করেছে ‘এক বেলা আহার’ কর্মসূচী। দুঃস্থ পরিবারের মাঝে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে স্থাপন করেছে বেশ কিছু টিউবওয়েল। গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মাণ করে দিয়েছে ঘর। ক্ষুদ্র কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রদান করেছে ছাগল। এছাড়া স্বপ্নিলের কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামে ও কিশোরগঞ্জে দুটি মুদি দোকান পরিচালিত হচ্ছে।