নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্মীয় অনুভূতিতে ‘আঘাত হেনে’ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার গিরিশনগরের যুবক মানিক খাঁনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার গিরিশনগর বাজার থেকে তাকে আটক করে দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ। তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে মসজিদ নিয়ে নেতিবাচক মত প্রকাশ করেছিল।
জানা গেছে, সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মানিক খাঁন (২৬) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ‘গধহরশ শযধহ’ থেকে মসজিদ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। মূহুর্তের মধ্যে ওই স্ট্যাটাসের স্ক্রিণশট বিভিন্ন গ্রæপ ও বিভিন্ন আইডিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই তার বিরুদ্ধে মারমুখী হতে থাকেন। তাকে প্রতিরোধ করার জন্য একত্র হতে শুরু করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিকালে গিরিশনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবককে আটক করে পুলিশ।
অনেকে জানিয়েছে, যুবক মানিক খান নিজেকে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় সমাজের উচ্চ পদস্থ মানুষের সাথে ছবি উঠে তা ফেসবুকে শেয়ার করতো।
মানিক খাঁন তার ফেসবুক পাতায় যা লিখেছিল তা হুবুহু তুলে ধরা হলো ‘‘যেখানে সেখানে মসজিদ না তৈরী করে কিছু খেলাধুলা করার মাঠ বানালে শিশু কিশোরদের সুস্থ মানসিক বিকাশ ঘটত। এত মসজিদ দিয়েও সমাজের মানবিক বিপর্যয় রোধ করা যাচ্ছে না। কারণ, মসজিদ সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ, খেলার মাঠ এবং সাস্কৃতিক ক্লাব- এই সবকিছুরই প্রয়োজন আছে এই সমাজে। কিন্তু শুধু মসজিদ বানানোর কারনে সমাজ টা এত বিষাক্ত।”
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল জানান, মানিক খাঁন নামের এক যুবক ফেসবুকে মসজিদ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাকে তাৎক্ষনিক পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার তাকে ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হবে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মানিক খাঁন ইতিপূর্বে নারী উত্যক্তের দায়ে জেল খেটেছে। সে এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে গিরিশনগর এলাকাজুড়েই চলছে তার এই কুকীর্তির সমলোচনা ঝড়। এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে তার কঠিন শাস্তির দাবীতে।