রবিউল ইসলাম বাবু, নাটুদহ:
দু’চোঁখে স্বপ্ন নিয়ে বছরে ২ বার আমন ও বোরো ধান চাষ করেন চাষীরা। আমন ধান ঘরে উঠে অগ্রহায়ণের শুরুতে হালকা শীতের মধ্য। অগ্রহায়ণ মাস পড়ার সাথে সাথে ধান কাটার কাজ শুরু করেন ধান চাষীরা। এ মাসের ১০ দিন হলে তোড়জোড় লেগে যায় ধান চাষীদের মাঝে। মাঠ গুছিয়ে কে আগে আনতে পারে ৬ মাসের খাদ্য খাবার। সবার মাঝে প্রতিযোগিতা থাকে বাম্পার ফলনের। বিঘা প্রতি কে কয় মণ বেশি ধান তুলতে পারে ঘরে। তবে এবার কৃষকের চোঁখে দেখা সে স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে মাজরা ও কারেন্ট পোকা আক্রমণে। ধান পাকার দেড় মাস আগে মাজরা ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেশি হলে বিষ প্রয়োগেও প্রতিকার হয়নি ধান চাষীদের। ৩ মাসের কষ্টে ফলানো ধান সঠিক ফলন না পাওয়ায় চাষীরা চরম বেপাকে পড়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের ধান চাষীরা। তার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রবাস, বোয়ালমারী, খলিসাগাড়ী ও কুনিয়া চাঁদপুর। গত আমন মৌসুমে এসব গ্রামের ধান চাষীরা ১ বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২২ মণ ধান ঘরে তুলেছেন। কিন্তু এবার আমন মৌসুমে ব্যাপারটা ভিন্ন রকম হয়ে দাঁড়িয়েছে। চন্দ্রবাস গ্রামের ধান চাষী নজরুল ইসলাম জানান, ১ বিঘা জমিতে ধান রোপন থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এরপরও সেসব খরচপাতি বাদ দিয়েও হয়তো লাভের মুখ দেখতে পাই। কিন্তু এবার এ মৌসুমে মাজরা ও কারেন্ট পোকার আক্রমণে লাভ তো দূরের কথা গো-খাদ্য বিচালী গুলাও বিক্রয়ের উপযুক্ত না। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে সব সময় বলা হয় সার, পানি ও বিষ প্রয়োগ সময় মত না করলে মাজরা ও কারেন্ট পোকার আক্রমণের কবলে পড়তে হবে। তবে আগামী মৌসুমে যেন ধান চাষীদের এমন ভোগান্তি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে।