নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিনা নোটিশে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। এসময় অবৈধ দখলকারীদের সাথে খারাপ আচারণ ও অকথ্যভাষায় গালাগালি করারও অভিযোগ উঠেছে জিআরপি পুলিশ, রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, রেললাইনে পাথর দেওয়া হবে। এই কারনে পাথর রাখার জন্য স্টেশনের অদূরেই রেললাইনের পাশে কদমতলায় অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য গত রবিবার মৌখিকভাবে স্থানীয়দের জানিয়ে যায় রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলীর দফতরের কর্মকর্তা কমর্চারী। কিন্তু পরদিন গতকাল সোমবার সকালে আবার অবৈধ দখলকারীদের কোন কিছু না জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের জিআরপি পুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যায় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলীর দফতরের কর্মকর্তা কমর্চারীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রেলস্টেশন এলাকার কদমতলার পাথর রাখার জন্য নির্ধারিত স্থান ছাড়াও প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে শত শত পরিবার রয়েছে। তাদেরকে আগে থেকে নোটিশ কিংবা মাইকিং না করেই মৌখিকভাবে সরে যেতে বলে। একদিন পর রেলের কর্মকর্তারা এসে উচ্ছেদ শুরু করে। এক প্রকার জোরপূর্বক ভাঙচুর চালায় তারা। নিষেধ করলে গালাগালি করে জিআরপি পুলিশ, রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অভিযোগ রয়েছে, উচ্ছেদেরে নেতৃত্ব দেন জিআরপি পুলিশের ইনচার্জ ও ট্রলি চালক ইমরান। এই ইমরান ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সাথেও জড়িত।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী চাঁদ আহম্মেদ জানান, নিয়ম-কানুন মেনেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের সাথে দুর্ব্যবহারের বিষয়টি দুঃখজন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।