নাটুদহ প্রতিবেদক:
দু’চোখে স্বপ্ন নিয়ে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রবাসে মালয়েশিয়া যান সামাদ খাঁ (৬০)। কিন্তু স্বচ্ছলতার বদলে ফিরেছে তার মরদেহ। গত মাসের ২৫ অক্টোবর সেখানে বাথরুমের ভেতর গামছা পেছিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এরপর গতকাল বুধবার ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় সামাদের মরদেহ। সকল আইন প্রক্রিয়া শেষে গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন হয়।
প্রবাসী সামাদ দামুড়হুদার উপজেলার কুড়ালগাছী ইউনিয়নের সদাবরি গ্রামের মৃত নজির খাঁর ছেলে।
জানা গেছে, ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়ায় যান সামাদ শেখ। সেখানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তিনি। অতিরিক্ত ঋণের বোঝা সইতে না পেরে প্রবাসে থাকা অবস্থায় বাথরুমের ভিতর ঢুকে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন সামাদ। সামাদের আত্মহত্যায় পরিবারটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাদের লাশ কাছে পেয়ে স্ত্রী ও ছেলে সন্তান সহ আত্মীয় পরিজনরা একসাথে অজস্র কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সামাদের আয়ের উপর নির্ভর করে সংসা চলতো।
মৃত্যুকালে সামাদ রেখে গেছেন রিয়াদ হোসেন ও রিপন মিয়া নামের দুটি ছেলে সন্তান। সামাদের চাচাতো ভাই জানান, মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে ভাই ভূষি মাল ব্যবসায় অনেক টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সব ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে করতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়ায় যান। একটানা ৭ বছর প্রবাসেই ছিল। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সামাদ আনুমানিক অর্ধ কোটি টাকার মত ঋণগ্রস্ত। এসব ঋণ পরিশোধের করতে মালয়েশিয়ায় চলে যায়। কিন্তু তার যে পরিমাণ দেনা পাওনা আছে সেই তুলনায় সেখানে মাসিক বেতন অনেক কম। হয়তো ঋণ পরিশোধের বোঁঝা বহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এই জন্য নিরুপায় হয়ে বাথরুমের ভেতর গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।