নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র অপ-তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ রাখতে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে গণসংযোগ ও বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় কুমারী বাজারে এই বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘এদেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে হলে, এই সরকারের বিকল্প নেই। নির্বাচন আসলেই কেউ না কেউ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে। জনগণের ভোট জনগণ দেবে, এটাই আমরা চাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলে দেশের উন্নয়নে গতি রয়েছে। দেশ ব্যাপি উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। দেশের প্রতিটি স্তরে উন্নয়ন হলেও নাকি বিএনপির চোখে কোন উন্নয়ন ধরা পড়েনা। দেশের মানুষ জেনে গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা। তারা কেউ আর সন্ত্রাসীদের হাতে ক্ষমতা দেবে না।’
আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, এই সেই আঠারোখাদা। রক্তাক্ত জনপদ। হাজার বছরের অন্ধকার এই জনপদে আমি বিদ্যুত নিয়ে এসেছিলাম। এমনদিন গেছে, ভয়ে আছরের নামাজ পড়তেও কেউ আসেনি। সেই জনপদে আজকের এই দিন এসছে, আওয়ামীলীগ সরকারের কারণে। আজ আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে।
আসাদুল হক বিশ্বাস আরও বলেন, আমি কারো বিরুদ্ধে বলতে আসিনি। তবে একটা কথা, সেবা করার ইচ্ছা যদি থাকে, তাহলে কাজ করুন। যে যেই দলই করেন না কেন, দয়া করে ব্যবসা করার জন্য রাজনীতিতে নাম লিখিয়েন না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষ বুকের রক্ত দেওয়ার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিলো। অস্ত্র হাতে নিয়েছিলো। আমি আপনাদের বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধি হতে চাই। আমি আপনাদের আজ পর্যন্ত ঠকায়নি। ৩২টি বছর আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। আপনারা আমার মরণ পর্যন্ত আমার কাছ থেকে ঠকবেন না। আমাকে আপনাদের সাথে রাখতে হবে। আপনাদের সকল বিষয়ে ভাবার সুযোগ করে দিতে হবে। এই সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হলে, আপনাদের ঐক্য হতে হবে। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনাদের স্বার্থহানী হবে, এমন কোনো রকম কাজ আমার জীবন থাকতে হবে না।
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার মুক্তার প্রমুখ।
কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহমেদ জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য পাপেল মিয়া, সদর পৌর কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তারিক আজিজ নয়ন, আলুকদিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি শাহীন বিশ্বাস, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য আকাশ মোল্লা, হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব ট্রাক্টর, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইছাহাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, সেরেগুল, হাকিম, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রশিদ, রাজু আহমেদ, সোহল, মশিউর রহমান, জান্টুর রহমান, আলমগীর প্রমুখ।