নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ এ শ্লোগানে চুয়াডাঙ্গায় বিশ^ ডায়াবেটিস দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গায় ডায়াবেটিক সমিতির কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদিক্ষণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতি কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মহ: শামসুজ্জোহা সঞ্চালনা করেন। সভায় ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি আজাদ মালিতা, কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন হেলা, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. ফকির মোহাম্মদ, মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান ও ডা. নাহিদ ফাতেমা রত্না বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন দারুস সালাম জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা জয়নাল আবেদীন। অনুষ্ঠানে সমিতির সহ-সভাপতি মুন্সি আলমগীর হান্নান, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, ডায়াবেটিক সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী, আজীবন সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, দেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৩ কোটি মানুষ নিজেকে চিকিৎসক মনে করেন। এটা অসচেতনার কারণে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। সবাই ১ম শ্রেণীর নাগরিক। সবকিছুতেই স্মার্ট হতে হবে। কিন্ত, আমরা বলি না। ওষুধ কোম্পানীর ভায়েরা চান রোগীর সংখ্যা বাড়ুক। আমরা আমাদের কর্মের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বুঝাতে পারি। শুধু দিবস উদযাপন করলেই হবে না। যদি প্রতিপাদ্য বিষয় বুঝাতে পারি তাহলেই স্বার্থকতা। প্রথমে পরিবার, প্রতিবেশি ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কাজ করতে হবে। সবাই যদি কাজ করি তাহলে এগিয়ে যেতে পারি। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পাঠিয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সৃষ্টিকর্তা বেশি খুশি হোন। অতীতে মানুষ দিয়ে গেছেন। আমরা ভোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। কানাডিয় চিকিৎসক ফ্রেডেরিক গ্র্যান্ট ব্যানটিং ইনসুলিন এর সহ-আবিস্কারক। আমরা কোথায় আছি। শিক্ষার জন্য বর্তমান সরকার সবকিছু করছে। গুণগত শিক্ষা কয়জন নিচ্ছে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে প্রত্যেকে প্রতিদিন একজন করে মানুষকে সচেতন করতে পারি তাহলে আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।