নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সমবায় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। এসময় তারা হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, ‘পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়ার মতো না। যারা পুলিশ হত্যা করছে, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা চালিয়েছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাই তাদেরকে সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সকলকে চিহ্নিত করে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের নামে যারা দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাদেরকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করুন, তারা আবারও অগ্নি সন্ত্রাসে ও মানুষ হত্যায় মেতেছে। তাদেরকে প্রতিহতের দাবি জানায়। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে না পারলে দেশ। মহা সংকটে নিমজ্জিত হবে।
দেশ বিরোধী সন্ত্রাসীদের কে কঠোর হস্তে দমন করুন ও দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংবিধানের আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, আপনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ সদস্যকে হত্যা মামলার আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিশেষ ট্রাইবুনালে অতি দ্রুত বিচার করার ব্যবস্থা করুন। মানবন্ধনের শেষ পর্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ জেলা কমান্ডের আহ্বায়ক ও খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গরীব রুহানি মাসুম, জেলা কমিটির সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজিদ রহমান জোয়ার্দার, আবু হাসেম, জাকির হোসেন, আলিফ জোয়ার্দার, সদস্য কাজী আমিরুল ইসলাম কাছেদ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আকরামুল হক কামাল, সদস্য সচিব শাজাহান আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর আহ্বায়ক সোহেল রানা, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন নিয়তি, আলমডাঙ্গা উপজেলা আহ্বায়ক প্রিন্স নেছার আহমেদ, সদস্য সচিব সেন্টু হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা আহ্বায়ক সান্টুসহ অন্যরা।