নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাসিক এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
সভায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন। এর মধ্যে আদালত সহায়তা, মানব পাচার প্রতিরোধ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, সড়ক দুর্ঘটনায় নির্ভুল ও সমন্বিত পরিসংখ্যান প্রণয়ন কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা গত মাসের জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশ ভালো উল্লেখ করে বলেন, গত মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলা খুলনা বিভাগের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখায় ৫টি ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পেতে যাচ্ছে এবং খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রথম পুরষ্কার পাচ্ছে। এ থেকেই বোঝ যায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আইনশৃঙ্খলা বেশ ভালো।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে কেউ যাতে জালাও পোড়াও করতে না পারে সে দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
এছাড়া ও সভায় সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, মানব পাচার প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত দখলমুক্ত, দ্রব্যমূল্য সহনশীল, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক আরাফাত রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার উপ পরিচালক ইয়াছিন সোহাইল, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফাতেহ্ আকরাম সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেততৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মিরা।