নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস বলেছেন, আগামী তিন মাস পর জাতীয় নির্বাচন। প্রস্তুতি নিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে। দলের মধ্যে ঐক্য নষ্ট করা যাবে না। দলকে ঐক্য রাখার জন্য টাকা কেটে আটআনা করা যাবে না। দলের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে বলা যাবে না। দলের ঐক্য থাকলে সকল অপশক্তি মোকাবেলা করা সম্ভব। এদেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে হলে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। গতকাল শুক্রবার সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসমানখালী বাজারে আওয়ামীলীগের কর্মীসভায় এসব কথা বলেন তিনি। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র অপ-তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ রাখতে গণসংযোগ ও কর্মীসভা অব্যহত রেখেছেন তিনি। এ কর্মীসভায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস আরও বলেন, উন্নয়ন ও শান্তির ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল স্বপ্ন পূরণ করছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র ভরসাস্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
আসাদুল বিশ^াস আরও বলেন, আমি সারাজীবন আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত। আপনাদের ভোটেই তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আপনাদের দোয়া সমর্থন পেলে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে প্রার্থী। আমি আপনাদের সন্তান। আপনাদের সেবক হয়ে সেবা করতে চাই। আমি কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই।
আলুকদিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি শাহিন বিশ্বাসের পরিচালনায় ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য পাপেল মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার মুক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল আলিম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য আকাশ মোল্লা, কালিদাসপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির উদ্দীন, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য কামাল হোসেন, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব রশিদ মিয়া, খোদা বক্স মণ্ডল, ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান হিমু, ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বাধন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জুয়েল হোসেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা সেলিম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সিলু হোসেন, আলুকদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা লেবু মিয়া, হাফিজ উদ্দীন, সাইফুল হোসেন, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সিলন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, আবুছদ্দিন, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সস্পাদক আব্দুস সাত্তার, গাংনি ইউনিয়ন যুব লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া।