নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দফায় ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা। চলেছে অফিস আদালত। খুলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বড় মার্কেটও। রাস্তাঘাটে লোকজনের আনাগোনাও ছিল উল্লেখসংখ্যক। তাছাড়া শহর থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কম থাকলেও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক। নিত্যপণ্য ছাড়া অন্য দোকানপাটে বেচাকেনা তেমন নেই। একইসাথে ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের শহীদ হাসান চত্বর, কোর্ট মোড়, একাডেমি মোড়, রেল বাজারসহ প্রত্যেকটি এলাকায় জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। চলছে যানবাহনও। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রী কিছুটা কম।
শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় ইজিবাইক চালক গিয়াউদ্দিন বলেন, গাড়িঘোড়া ঠিকমতো চলছে। আমরা পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি। কিন্তু মানুষজন বাইরে কম বের হচ্ছে। এ কারণে ভাড়া একটু কম হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ রুটের বাস কাউন্টার মাস্টাররা বলেছেন, গত কয়েক দফায় হরতাল-অবরোধের তুলনায় গতকাল যাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল। ধীরে ধীরে সাধারন মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। এ জন্য আমরা এখন ভালোই যাত্রী পাচ্ছি।
তাছাড়া সড়কে দূরপাল্লার যান চলাচলে চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যাও কম। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলো ছিল যাত্রীশূন্য। কিছু কাউন্টার খুললেও কয়েকটি বন্ধ দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানিয়েছেন, জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। হরতাল-অবরোধে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।