জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গা-২ আসেনর সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বলেন, “শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিন্তু তাদের কন্ট্রোল করতে পারবে না। আমাদের সবার বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। যারা মানুষের জানমালের ক্ষতি করছে, যারা বাসে বা অন্যন্যা জায়গায় আগুন দিচ্ছে, ইট মারছে, ঢিল মারছে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে। তাদের খুজে বের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এখানে ভয়ের কিছু নেই।” গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি টগর এসব কথা বলেন।
টগর আরও বলেন, স্কুল-কলেজে বিল্ডিং হয়েছে। সব এলাকায় রাস্তাঘাট হয়েছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। কৃষকের ফসল সহজেই বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে একটা গোষ্ঠীর চোখে কিন্তু উন্নয়ন চোখে পড়ছে না। তারা ২০১৪ সালে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল। ৫০০-এর ওপর স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল। ৫টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছিল। ৫০০-এর ওপর মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। ৩ হাজারের বেশি মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দিয়েছিল। তারা কিন্তু আবার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে বিশেষ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জীবননগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন, হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহাজ্জত মির্জা প্রমুখ।