সাজিদুর রহমান, সরোজগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গার-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সরোজগঞ্জ ও বদরগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু ও এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। দুজনই যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
গতকাল দুপুর ৩টার দিকে বদরগঞ্জ দশমী গ্রামে আমেরচারা নামক স্থানে খাঁন পরিবহনের ধাক্কায় তনু (০৬) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দশমী গ্রামে ফারুক হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তনু তার বড় ভাই ও নানীর সাথে আত্মীয় বাড়ি ঘুরে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির সামনে ভ্যান থেকে নেমে রাস্তা পার হতে গেলে চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী খাঁন পরিবহন (বরিশাল মেট্রো-ব-১১-০১৬৫) শিশু তনুকে ধাক্কা দেয়। এতে সে রাস্তায় ছিটকে বাসের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে সিন্দুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাজারুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয়েছে।
এরপর রাত ১০টার দিকে একই সড়কের সরোজগঞ্জ তেঁতুল শেখ কলেজের সামনে জননী পরিবহনের ধাক্কায় কামাল হোসেন (৫৫) নামে এক দিনমজুরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। কামাল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ছয়মাইল হটাৎ পাড়ার রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে।
জানা গেছে, কামাল হোসেন প্রতিদিনের মতো সরোজগঞ্জ বাজারে শ্রমিকের কাজ শেষে রাতে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিল। এসময় সরোজগঞ্জ তেঁতুল শেখ কলেজের সামনে পৌঁছালে উল্টোদিক থেকে আসা জননী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের চাকার নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কামাল। পরে সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।