আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে কুমার নদে ডুবে শিশু কন্যা তনুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। নানা বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদে বালতিতে পানি তুলতে গিয়ে ডুবে মারা যায় ওই শিশু। কুমার নদের পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা খোঁজাখুজির পর তনুর মৃতদেহ খুঁজে পায় পরিবারের লোকজন। শিশু কন্যা তনু ঝিনাইদাহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদাহ গ্রামের বিশ্বজিৎ কর্মকারের মেয়ে। দূর্গাপূজা উপলক্ষে ১৫ দিন আগে আলমডাঙ্গায় নানা দিলিপ কুমার কর্মকারের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পরিবারের সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিশু কন্যা তনু বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদে বালতি নিয়ে পানি আনতে যায়। পরিবারের লোকজন তনুকে খুঁজে না পেয়ে নদীর পাড়ে যায়। নদীর পানিতে বালতি ভাঁসতে দেখে পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশিরা কুমার নদের পানিতে তনুকে খুঁজতে থাকে। প্রায় ১ ঘন্টা খোঁজাখুজির পর প্রতিবেশি ফারুক হোসেন নামের এক যুবক তনুর নিথর দেহ উপরে তোলেন। পরে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আল মামুন তাদের গাড়িতে তুলে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
প্রতিবেশি যুবক ফারুক হোসেন জানান, তিনি বাড়িতে শুয়ে ছিলেন। তার ছোট বোন সংবাদ দেয় দিলিপ কর্মকারের নাতনী নদীর পানিতে ডুবে গেছে। তিনি দ্রুত নদীর পাড়ে পানিতে নেমে খুঁজাখুজি শুরু করেন। প্রায় ১ ঘন্টা পর শিশু তনুর নিথর দেহ পায়ে বাধে। পরে শিশু কন্যা তনুর নিথর দেহ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করেন। শিশুকন্যা তনুর এই মৃত্যুতে পরিবারটিতে শোকের মাতম চলছে।