নিজস্ব প্রতিবেদক:
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীতে চুয়াডাঙ্গার মণ্ডপগুলোতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। ভক্তরা মণ্ডপে অঞ্জলি ও ভোগ দিয়েছেন। নবমী পূজা ও সন্ধ্যা আরতি শেষে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে বিদায় নিবেন মা দুর্গা। এদিকে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে মন্দির পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনা পৌর এলাকার মধ্যে ৫টি পুজা মন্দির পরিদর্শন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা। এসময় দর্শনা পুরাতন বাজার সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মাতা মন্দির, দর্শনা কেরুজ পূজা মন্দির, দর্শনা আমতলা হরিজন পূজা মন্দির, কালিদাসপুর বাগদী পাড়া পূজা মন্দির, রামনগর আদিবাসী পাড়া পূজা মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্ড পরিদর্শন করেন। একইসাথে সনাতন ধর্মাম্বলী ভক্তবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, পূজার নিরাপত্তা সহসার্বিক খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, এনএসআই’র উপ-পরিচালক ইয়াছিন সোহাইল, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা, দামুড়হুদা উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাও. মুফতি মামুনুর রশিদসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন তারা।
হিন্দু সনাতন শাস্ত্রমতে, নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদলাভ হয়। তাই শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে দশভুজা দেবীর পূজা হয়েছে। নীল অপরাজিতা ফুল মহানবমী পূজার বিশেষ অনুষঙ্গ। নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা গত শুক্রবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে ১৪ অক্টোবর ঘোড়ায় (ঘোটক) চড়ে পিতৃগৃহে আগমন করেন। আর কাল ঘোটকে করেই কৈলাশে ফিরে যাবেন। টানা ৫ দিনের আনন্দ উৎসবের পর আজ বিজয়া দশমীর দিন দেবী বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
মা দুর্গার বিদায়কে কেন্দ্র করে গতকাল মহানবমীর সন্ধ্যায় আরতি শেষে দেবীর বন্দনায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে বিষাদের সুর বাজতে শুরু করেছে। দুর্গতি নাশিনী মহিষাসুর মর্দিনীর আরাধণা শেষ হলে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরবেন মা দুর্গা। এই ৫দিন মন্দিরে মন্দিরে মন্ত্র উচ্চারণ আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অশুভ শক্তিকে তাড়িয়ে শুভ কামনা করা হয়।