শেখ লিটন:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। রোগির চাপ এতটাই বেড়েছে যে পা ফেলার জায়গা নেই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। অনেকে বেড না পেয়ে ওয়ার্ডের মেঝে এবং বারান্দায় আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর এমন চাপ সামলাতে পারছে না শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা। গত এক সপ্তাহ ধরে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি আছে ৯২জন। আর প্রতিদিন গড়ে রোগী আসছে ৬০ থেকে ৭০ জন। রোগীর সকলেই ৩ মাস বয়স থেকে ১ বছর পর্যন্ত। গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৫ শতাধিক শিশু রোগী।
রোগীর চাপ সামলাতে হিমিশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। আবার দেখা দিয়েছে জায়গা সংকট। বেড না পেয়ে শিশু ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দা ও সিঁড়িতে নবজাতক শিশুসহ ১বছর বয়স পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। এমন অবস্থায় ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।
রোগী স্বজনরা জানায়, গত এক সপ্তাহে ধরে হালকা শীত হালকা গরম অনুভূত হচ্ছে। তাই এখন এই সময়ে শিশুদের রোগ বালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথমে মৃদু ঠান্ডা জ¦র পরে তা নিউমোনিয়ায় রুপ নিচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়র্ডে রোগীর অনেক ভিড়। মেঝেতে পা ফেলার জায়গা নেই। সব জায়গায় রোগী ভর্তি।
আবহাওয়া তারতম্যের কারণে হঠাৎ করে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলছেন চিকিৎসকরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ এ এস এম ফাতেহ্ আকরাম বলেন, গেল কয়েকদিন ধরে সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে ডাক্তার ও নার্সরা নিয়মভাবে চিকিৎসাসেবা করছেন। একই সাথে পরামর্শ দিচ্ছেন। জনবলের সংকটের কারণে ডাক্তার ও নার্সরা চাপ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া রয়েছে বেড সংকট। তবে চেষ্টা অব্যহত আছে রোগীর চাপ সামলানো।