সভাপতি এম জেনারেল; সম্পাদক রিপন মন্ডল
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিসিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহন। চলে বিকেল ৫টা অবধি। পরে ভোট গণনা শেষে রাত ১টার দিকে ফলাফল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. সেলিম উদ্দীন খাঁন। নির্বাচনী ফলাফলে আবারও সভাপতি নির্বাচিত হন এম. জেনারেল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন রিপন মন্ডল।
এদিকে, টানটান উত্তেজনায় সকাল থেকে শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকার তাসনীম নূর কমিউনিটি সেন্টারে ভোট দিতে আসেন শ্রমিকরা। একে একে সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তারা। নির্বাচনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিনভর বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল ভোটকেন্দ্র এলাকায়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে সরব ছিল পুলিশ সদস্যরা।
ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল শীট থেকে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিসিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে এম. জেনারেল ইসলাম কুঁড়েঘর প্রতিক নিয়ে ১৯৪০ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টোকন আলী চেয়ার প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮৩ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। এদের মধ্যে খেজুর গাছ প্রতীকের মুসা করিম ঠান্ডু ১১২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া হাতি প্রতীকের তারিক হোসেন ৯৮৯ ভোট ও প্রজাপতি প্রতীকের রফিকুজ্জামান রানা ৯২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারন সম্পাদক পদেও পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীকের রিপন মন্ডল। তিনি পেয়েছেন ১৮৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের আসলাম আলী পেয়েছেন ৩২১ ভোট। এ পদে আরেক প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম হারিকেন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৭ টি ভোট।
যুগ্ম-সম্পাদক পদে বাস প্রতীকের শহিদুল ইসলাম ১১৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের শহিদ হোসেন ৯৩৫ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সাধারন সম্পাদক পদে টেবিল প্রতীকের রেজাউল হক রেজা ৯৪১ ও টেলিভিশন প্রতীকের মিরাজুল ইসলাম নান্টু ৮৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে হাতুড়ি প্রতীকের মিজানুর রহমান মিঠু ১৩৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বালতি প্রতীকের ইকবাল কবীর টিপু পেয়েছেন ৭৬৭টি ভোট।
প্রচার সম্পাদক পদে সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত। সড়ক সম্পাদক পদে মই প্রতীকের পান্না মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১৮৫ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে গাভী প্রতীকের শাহাজুল ইসলাম মন্টু ১০০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্যের ৭টি পদে পর্যায়ক্রমে চাকা প্রতীকের ইদ্রিস আলী ১৩৮৫, আম প্রতীকের মেহেদী হাসান ১২৫০, মোরগ প্রতীকের সাগর আলী ১২২৯, ডাব প্রতীকের আমিরুল ইসলাম ১১৬২ ও রিকসা প্রতীকের জনি হোসেন ১১০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. সেলিম উদ্দীন খাঁন জানান, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। সুষ্ঠু এ ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বাছাই করার সুযোগ পেয়েছেন শ্রমিকরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র ছিল যে আশঙ্কা ছিল তা উৎসবে পরিণত হয়। ভোটার এবং প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটের আয়োজন শেষ করেছে। শ্রমিকরাও ডিসিপ্লিনের সাথে নিয়ম মেনে ভোট প্রদান করেছেন। এ জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর থানাসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট সারাদিন নিয়োজিত ছিল। এছাড়া নির্বাচন পরবর্তী যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সরব রয়েছে।