আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি কুটিপাইকপাড়ায় বিয়ের ৫ মাসের মাথায় এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই গৃহবধু আত্মহত্যা করে বলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন দাবি করেছে। তবে এ গৃহবধুর আত্মহত্যাকে অনেকেই রহস্যজনক মৃত্যু বলছে। গতকাল বুধবার সকালে নিজ ঘরের আড়ায় গলায় ওড়না পেঁচানো গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে স্বামীর পরিবারের লোকজন। জানা গেছে, উপজেলার ঘোলদাড়ি কুটিপাইকপাড়ার মৃত মাহাতাব মন্ডলের ছেলে ভূষিমাল ব্যবসায়ী সাহাবুল ইসলামের সাথে ডাউকি গ্রামের মুন্সিপাড়ার মোতাহার ওরফে পান্নু মুন্সির মেয়ে শামীমা খাতুনের পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শামীমা খাতুন শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করছিল। সাহাবুল ঘোলদাড়ি বাজারে ভূষিমালের ব্যবসা করেন। সাহাবুল জানান, সকাল ৮ টার দিকে দোকানে বসে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী শামীমা খাতুন আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তিনি বাড়ির দিকে যান। ডাউকি গ্রামের অনেকেই জানান, বয়োবৃদ্ধ পান্নু মুন্সির তিন মেয়ে। তার সব সম্পত্তি তিন মেয়ের নামে লিখে দিয়েছেন। শামীমার নামে জমি লিখে দেওয়ার বিষয়টা তার স্বামী সাহাবুল জানতে পারেন। তারপর থেকেই সাহাবুল তার স্ত্রী শামীমাকে জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এরই মাঝে গতকাল বুধবার সকালে শামীমার শ্বশুরবাড়ির পাশের বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় গৃহবধুর চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল তারেক বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যায় পিতার বাড়ি ডাউকি গ্রামে শামীমার লাশ দাফন করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘোলদাড়ি কুটিপাইকপাড়া গ্রামে শামীমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ গলায় উড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গৃহবধুর চাচাতো ভাই বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।