নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহুল কাক্সিক্ষত বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে। গতকাল রবিবার প্রায় নয়শো নেতাকর্মী নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের নান্টুরাজ সিনেমা হলে সান্ধ্যকালীন শো’তে সিনেমাটি দেখেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পৌর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে সিনেমা দেখার আয়োজন প্রসঙ্গে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে যে চলচ্চিত্র, সেটা ইতিহাসেরই অংশ। বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ নির্মিত হয়েছে। ঐতিহাসিক এই চলচ্চিত্রটি সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে দেখতে আমি পুরো হল বুকিং নিয়েছি। দুটি শো-তে প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী এই সিনেমা দেখেছে। তবে আমি সান্ধ্যকালীন যে শো দেখেছি, তখন আমার সাথে প্রায় নয়শো নেতাকর্মী সিনেমাটি দেখে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য অনেকে ঠাই দাঁড়িয়ে আমার সাথে সিনেমা মনোযোগ দিয়ে দেখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটি দেখে আমার মনে হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে জীবন আমরা বইতে পড়েছি, যেটা শুনেছি, তার সাথে হুবহু মিল রেখে সুন্দরভাবে জাগ্রত ইতিহাসকে উপস্থাপন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে যারা অভিনয় করেছেন তারাও সুনিপুণভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিজনদের ফুটিয়ে তুলেছেন। মনে হচ্ছে যেন বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। ছবিটি দেখে অনেকের চোখের পানি এসেছে। সিনেমার শুরুতে আমিও নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। চোখে পানি এসেছে। বার বার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতি করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করি, তাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই চলচ্চিত্রটি দেখা। এছাড়া যতদিন এই হলে সিনেমাটি চলবে, প্রতিদিন আমাদের ৫০০ জন করে নেতাকর্মী আমার সোজন্য-এ সিনেমাটি দেখবে। আমি তাদের টিকেট বিনামূল্যে সরবরাহ করবো।এরপর চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার হলগুলোতে শো শেষ হয়ে গেলে এলইডি ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন গ্রামের মোড়ে মোড়ে তরুণ প্রজন্মকে সিনেমাটি দেখাতে চাই। তাদের জানাতে চাই ইতিহাসটা কী! আমার বিশ্বাস, বহুল প্রতীক্ষিত এ বায়োপিকের মাধ্যমে জাতি অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাস সঠিকভাবে জানবে তরুণ প্রজন্ম।’
দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাথে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু, কালিদাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনউদ্দীন পারভেজ, পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, খাদিমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও চিৎলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লু, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ায়েচ কুরুনি টিটু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু মাস্টার, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান। আওয়ামীলীগ নেতা দেবেন্দ্রনাথ দোবে,কাজী রবিউল হক, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবু তালেব, জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা রিপন শাহ, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল পারভেজ রাজু প্রমুখ। এসময় সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর কবির শিপলুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর বহুল কাঙিক্ষত বায়োপিকটি গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সারা দেশের ১৫৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির দিন অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার শো’তে সিনেমাটি দেখেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের শ্যাম বেনেগল পরিচালিত বায়োপিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের শিল্পী আরিফিন শুভ এবং বঙ্গবন্ধু পত্নী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। এছাড়া জনপ্রিয় অভিনেতা তৌকীর আহমেদ, চঞ্চল চৌধুরী, প্রার্থনা দীঘি ও অন্যরা বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিনেমাটিতে।