নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে, বেলা সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম ভূইয়া। চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও স্থারীয় সরকারের সহকারী পরিচালক শাহিদুল আলমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন, শংকরচন্দ্র ইউপি সচিব মাসুদুর রহমান, বেগমপুর ইউপি সদস্য আহমেদ কায়েস, গ্রাম পুলিশের দফাদার বিপুল দাস। আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন কালেক্টরেট মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী কবির আহমেদ ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন বাবু সুনিল মল্লিক।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘একের অধিক জন্ম নিবন্ধন আইনগতভাবে অবৈধ। এজন্য ব্যাপক জন সচেতনতা তৈরি করতে হবে। একটি রাষ্ট্রের সঠিক পরিকল্পনা এবং বাজেট প্রণয়নের বিষয়ে জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন যদি হালনাগাদ না থাকে তাহলে ওই পরিকল্পনায় ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। যদি একজনের একাধিক জন্ম নিবন্ধন। তাহলে জনসংখ্যা বেশি দেখাবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জন্ম ও নিবন্ধন করা।’ তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচনায় সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন সার্ভারের সমস্যার কথা। এটি খুব সহসায় কেটে যাবে। আমরা জেনেছি নতুন সার্ভারের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। হয়ত সেন্ট্রাল সার্ভারে সঠিকভাবেই কাজ করছে, ফিল্ডে এটি সঠিকভাবে সংক্ষরণ এবং এর যে কানেক্টিভিটি, কারিগরি কারণে অনেক ক্ষত্রে হয়ত স্লো হতে পারে। বিষয়গুলো আমরা উব্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে পত্রাকারে জানিয়েছি।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে: দামুড়হুদায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে চৌরাস্তার মোড় ঘুরে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সজল কুমার দাস।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, একটি শিশু জন্মের পর সরকারি খাতায় প্রথম নাম লেখানোই জন্ম নিবন্ধন। একটি শিশুর জন্ম নিজ দেশকে, বিশ্বকে আইনগতভাবে জানান দেয়ার একমাত্র পথ জন্মের পর জন্মনিবন্ধন করা। নবজাতকের একটি নাম ও একটি জাতীয়তা নিশ্চিত করতে এটি হচ্ছে প্রথম আইনগত ধাপ। জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি শিশুসহ বয়স্কদেরও একটি অধিকার। এটি নাগরিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। পৃথিবীতে একটি শিশু জন্মানোর পর রাষ্ট্র থেকে প্রথম যে স্বীকৃতি সে পায় সেটি হলো জন্ম নিবন্ধন। দেশের অন্যান্য নাগরিকের সাথে সে সমান অধিকার পাই জন্ম নিবন্ধন এর মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করা সম্ভব বাল্যবিবাহ একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা, ১৫ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয়। বাল্যবিবাহ মেয়েদের উপর স্বাস্থ্য সমস্যা সহ বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাল্য বিবাহের কারণে তাদের শিক্ষার সুযোগ সীমিত হওয়া, সহিংসতা বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাইদা খাতুন, দামুড়হুদা মডেল থানায় উপ পরিদর্শক মাহবুব রহমান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হজরত আলী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ান পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, কুড়ুলগাছি পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, হাউলী ইউপি সচিব নাঈম হোসেন, কুড়ালগাছি ইউপি সচিব সাহাবুল, সদর ইউপি সচিব শামিম রেজা, নতিপোতা ইউপি সচিব আলমগীরসহ উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, সকল ইউপি সচিব, ইউপি সদস্য বৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।