আজ বুধবার | ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ভাষা পরিবর্তনঃ বাংলা ইংরেজি

ই-পেপার ভার্সন দেখতে ক্লিক করুন  e-paper

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • দেশের খবর
    • খুলনা
    • টট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • রাজশাহী
    • সিলেট
  • রাজনীতি
  • অর্থ-বাণিজ্য
  • আন্তর্জাতিক
    • এশিয়া
    • আমেরিকা
    • আরব
    • ইউরোপ
    • আফ্রিকা
    • জাতিসংঘ
    • লাতিন
    • অন্যান্য
  • খেলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য
  • বিনোদন
    • ঢালিউড
    • টলিউড
    • বলিউড
    • অন্যান্য
  • আইন ও আদালত
  • লাইফস্টাইল
  • অন্যান্য
    • শিক্ষাঙ্গন
    • উপসম্পাদকীয়
    • মুক্তমত
    • ফিচার
    • ভ্রমণ
    • স্বাস্থ্য কথা
    • ক্যারিয়ার
    • মিডিয়া
    • ধর্ম
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • নারীমঞ্চ
    • প্রবাস
    • শিল্প-সাহিত্য
শিরোনাম
  • টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় ফিরবে আওয়ামী লীগ?
  • আওয়ামী লীগের ‘কৌশলী’ মনোনয়ন কী বার্তা দিল?
  • ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট ও ডাহা মিথ্যাচার’
  • মানবতা কোথাও কোথাও মরে গেছে
  • আওয়ামী লীগে এত ভিড় কেন?
  • জামায়াতের অপরাজনীতির কৌশল
  • চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ছেলুন জোয়ার্দ্দারের পক্ষে আলমডাঙ্গায় মতবিনিময়
  • দামুড়হুদায় ৪টি কসমেটিক্স দোকানে জরিমানা
  • শেষ হলো দর্শনায় ৩ দিনের বাউল ও লোকজ মিলন মেলা
  • আলমডাঙ্গায় দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতার মারামারি
  • প্রচ্ছদ » Uncategorized » তিনি বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক

    তিনি বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক

    Uncategorized | ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, শুক্র, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 18

    Share this…


    • Facebook


    • Messenger


    • Twitter


    • Linkedin

    মেজর জেনারেল মোহাম্মদ, আলী শিকদার (অব.):

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে। বাংলাদেশের মানুষের অন্তরাত্মার যে ঠিকানা তার অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা।
    তাই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের শেষ ঠিকানা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুকে পরোয়া করেননি বলেই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে গর্ব বোধ করতে পারি। আর তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা মৃত্যুকে পরোয়া করেন না বলেই বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির সড়কে উঠেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আমি প্রায়ই বলে থাকি, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন, আর তাঁরই মেয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে রক্ষা করে চলেছেন।
    তিনি বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকদীর্ঘ এই চলার পথ শেখ হাসিনার জন্য কখনোই মসৃণ ছিল না। ৪২ বছরের রাজনীতিতে কত কঠিন পথ মাড়িয়ে তিনি বাংলাদেশকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে এসেছেন, তা বোঝার জন্য সংক্ষেপে হলেও একটু ইতিহাসের পাতা ওল্টাতে হবে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী হিসেবে পর পর দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকেন দুই সামরিক শাসক। তাঁরা দুজনই একই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্র পাল্টে ফেলেন।

    সব কিছু তছনছ করেছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক আদেশ দ্বারা মুক্তিযুদ্ধ শব্দটি পর্যন্ত সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে দেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী মুসলিম লীগ ও জামায়াতি নেতাদের দুই সামরিক শাসকই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি বানান, যারা কখনোই বলেনি একাত্তরে ভুল করেছে, বরং ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলেছে, একাত্তরে তারা সঠিক কাজই করেছে। সুতরাং তারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় বসে বাংলাদেশকে আরেকটি পাকিস্তান স্টাইলের রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করবে, সেটাই স্বাভাবিক এবং সেটাই তারা করেছে। লক্ষ্য পূরণে তারা ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে ফিরিয়ে এনেছে, মুক্তিযুদ্ধের ফসল বাহাত্তরের সংবিধানকে কবরস্থ এবং এতত্সংশ্লিষ্ট ইতিহাসকে চরমভাবে বিকৃত শুধু নয়, নগ্ন মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ করেছে।

    পণ্ডিত জওয়াহেরলাল নেহরু একবার বলেছিলেন, ইংরেজরা প্রায় ২০০ বছর শাসনের মাধ্যমে ভারতবর্ষের যত ক্ষতি করেছে, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতি করেছে ইতিহাসকে বিকৃত করে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশও পাকিস্তানের মতো সামরিকতন্ত্র ও মোল্লাতন্ত্রের কবলে পড়ত এবং তাহলে আমাদের কী অবস্থা হতো, তা বোঝার জন্য যুক্তিতর্কের প্রয়োজন হয় না। এখন পাকিস্তানের দিকে একটু তাকালেই সবাই তা বুঝতে পারবেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার ফলে সামরিক শাসক এবং একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মীয় উগ্রবাদীদের অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। তারা সবাই বুঝতে পারে শেখ হাসিনা যদি রাজনীতিতে সফল হন, তাহলে পঁচাত্তরের পরে তারা যে রাজনীতি চালু করেছে, তার অস্তিত্ব বাংলাদেশে থাকবে না। সুতরাং সংগত কারণেই ওই সম্মিলিত গোষ্ঠীর কমন শত্রুতে পরিণত হন শেখ হাসিনা; যার কারণেই ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠের জনসভায় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে সরাসরি গুলি চালাতে দেখা যায়। কিন্তু তিনি বেঁচে যান, নিহত হয় নিরীহ মানুষ। তারপর ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনা সম্পর্কে নতুন করে তো আর বলার কিছু নেই।

    তিনি বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকশেখ হাসিনা যদি রাজনীতিতে না আসতেন অথবা যদি নিহত হতেন, তাহলে বাংলাদেশ কখনোই সামরিকতন্ত্রের কবল থেকে মুক্ত হতে পারত না। পাকিস্তানের মতোই এক সামরিক শাসকের পরে আরেক সামরিক শাসক আসতেন। সুতরাং শেখ হাসিনার রাজনীতির বড় সফলতা তিনি বাংলাদেশকে সামরিকতন্ত্রের কবল থেকে মুক্ত করেছেন। সবচেয়ে বড় সফলতা এই, ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ও সামরিক শাসকের ঔরসজাত রাজনৈতিক পক্ষের প্রবল প্রপাগান্ডা ও মিথ্যাচার শুধু নয়, চরম ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শনসহ জাতির পিতাকে তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মনের মধ্যে প্রোথিত করতে পেরেছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল এবং জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনের উদাহরণ। এর ফলে সারা বিশ্বের দরজা আজ আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য উন্মুক্ত, কোনো বাধা নেই। ‘আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান’—এই অপধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্বের মানুষ আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সন্দেহের চোখে দেখত, যেটা আজ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বেলায় হচ্ছে।

    এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশের কয়েকটি অনন্য অর্জনের কথা তুলে ধরি। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দেশের এক-দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রায় ২০ বছর ধরে ভয়ংকর এক ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ চলমান। ৪০ হাজার মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিদিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের লাশ আসছে স্বজনদের কাছে, নিরীহ পার্বত্যবাসী জীবন হারাচ্ছে। অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পার্বত্যবাসী পাহাড়ি-বাঙালি সবাই উন্নয়ন ও আধুনিকতার সব ছোঁয়া থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, স্কুল-কলেজ, ব্রিজ-কালভার্ট, টেলিফোন কিছুই নেই। এর শেষ কোথায় ২০ বছরে তা কেউ বলতে পারেনি। কিন্তু ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে মাত্র দেড় বছরের মাথায় পার্বত্য চট্টগ্রামে যেভাবে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন তার উদাহরণ বিশ্বে একটিও নেই। উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর।

    এবার সমগ্র বাংলাদেশের কথায় আসি। শান্তির বড় শত্রু দরিদ্রতা। বিশ্বব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত মান অনুযায়ী ২০০৯ সালে বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৪১ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। ২০২২ সালে সেটা নেমে এসেছে প্রায় শতকরা ১৮ ভাগে। এতে গত ১৪ বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে মুক্ত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনের হার হিসেবে এটি বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বায়নের যুগে যেকোনো দেশের এত বড়সংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকলে সেটা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে তা শুধু নয়, বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের সাফল্য এখন বৈশ্বিক আলোচনার বিষয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, তিনি বিশ্বের দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করবেন। সেই সূত্রে ২০২১ সালের ১০ মার্চ নিউ ইয়র্ক টাইমসে নিকোলাস ক্রিস্টভ এক নিবন্ধে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করতে চাইলে বাংলাদেশের মডেলটি অনুসরণ করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে যেমন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি আন্ত সীমান্ত সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের ফলে দক্ষিণ এশিয়া বড় ধরনের যুদ্ধ ও সংঘাত থেকে এখনো মুক্ত আছে। একটু ব্যাখ্যা দিই। ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্রশস্ত্র প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে আসছিল।

    ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। ভারতের সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেন। আগের পরিস্থিতি এত দিন অব্যাহত থাকলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ছিল অনিবার্য এবং অযথা তাতে বাংলাদেশের জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। কারণ ২০০১-০৬ মেয়াদে বাংলাদেশের জামায়াত-বিএনপি সরকার ভারতের বিরুদ্ধে আন্ত সীমান্ত সন্ত্রাস বিস্তারে পাকিস্তানের প্রক্সি হিসেবে কাজ করেছে। যুদ্ধ বেধে গেলে ভারত-পাকিস্তান, দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকে ধাবিত হতো, যেটা পাকিস্তান একতরফাভাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছিল ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময়। সুতরাং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও শান্তিবাদী দর্শনের কারণেই উপমহাদেশ পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেয়েছে। পাকিস্তান-ভারত পারমাণবিক যুদ্ধ বেধে গেলে তার দাবানল ছড়িয়ে পড়ত বিশ্বব্যাপী। সুতরাং আঞ্চলিক তো বটেই, বিশ্বশান্তি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এককভাবে যে ভূমিকা রেখেছেন, এর দ্বিতীয় উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে নেই।

    শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা একটার পর একটা ভূমিকা রেখে চলেছেন। সমুদ্র সীমানার দ্বন্দ্ব এই সময়ে বিশ্বব্যাপী শান্তিভঙ্গের বড় ইস্যু হয়ে আছে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন ও প্রতিবেশী দেশগুলো এবং ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক-গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপেও এর মীমাংসা হচ্ছে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে ৭৮ বছরের জিইয়ে থাকা অমীমাংসিত সমুদ্র সীমানার মীমাংসা শান্তিপূর্ণভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। অচিহ্নিত স্থলসীমানা নিয়ে যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ হচ্ছে, তখন শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ৭৮ বছরের পুরনো অচিহ্নিত স্থলসীমানা শান্তিপূর্ণ উপায়ে চিহ্নিত করেছেন। এসবের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ সুগম হয়েছে। ২০১২ সালে শেখ হাসিনা কর্তৃক জাতিসংঘে উত্থাপিত বিশ্বশান্তির মডেল প্রস্তাব জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশ কণ্ঠভোটে গ্রহণ করেছে। মানব অস্তিত্বের বড় হুমকি জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে পরিত্রাণের জন্য ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে জলবায়ুজনিত কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে গঠিত ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) নেতৃত্বে আছেন তিনি।

    ২০১৭ সালে তিনি যদি বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে না দিতেন, তাহলে হাজার হাজার রোহিঙ্গার লাশ আর রক্তে ভরে যেত নাফ নদী। শত উসকানি সত্ত্বেও তিনি যুদ্ধ নয়, শান্তির পথে থেকেছেন। অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন বিশ্বের জন্য উদাহরণ। বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও নামকরা গবেষণা সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে, চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে আর মাত্র সাত বছর, ২০৩০ সালে বিশ্বের ২৮তম অর্থনীতি হবে বাংলাদেশ। তখন আর আমাদের পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে এখন কোনো দেশ আর জঙ্গি-সন্ত্রাসী বলে সন্দেহ করে না, যেমনটা হয়েছে ২০০১-০৬ মেয়াদে। তরুণ প্রজন্মের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচিত। তেঁতুলিয়া ও টেকনাফে বসেও একজন তরুণ চাকরি নয়, নিজে স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে মাসে লাখ টাকারও বেশি উপার্জন করতে পারছে। শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্ব, শান্তিবাদী দর্শন ও পিতার মতো দেশপ্রেম ইত্যাদির সমন্বয়ে বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রিকস ও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এর প্রতিফলন দেখা গেছে। এই মর্যাদা বাংলাদেশের মর্যাদা, এই মর্যাদা ১৭ কোটি মানুষের মর্যাদা। আর এই মর্যাদার প্রতীক বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর মেয়েকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

    লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

    Leave a Reply Cancel reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    এরকম আরো নিউজ

    কাটেনি জাতীয় পার্টির সংকট

    বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটি পুলিশ ও ফেসবুক অ্যাডমিনদের  সাথে এসপির মতবিনিময়

    দৌলতদিয়াড়ে ইজিবাইকের ধাক্কায় আইনজীবীর  মৃত্যু

    দর্শনায় ১ কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেফতার

    মেহেরপুরের জুগিন্দায় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

    সাহিত্যে নোবেল পেলেন জন ফসে

    আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তার বন্ধের অভিযোগ

    জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ বোর্ডের সদস্য বাংলাদেশ

    জুড়ানপুর ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ নেতার পথসভা

    শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনে প্রস্তুতিসভা

    ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নাটুদহের যুবক নিহত

    মেহেরপুরে পেশাগত গাড়ি চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ

    সর্বশেষ খবর সর্বপঠিত খবর
    • টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় ফিরবে আওয়ামী লীগ?

    • আওয়ামী লীগের ‘কৌশলী’ মনোনয়ন কী বার্তা দিল?

    • ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট ও ডাহা মিথ্যাচার’

    • মানবতা কোথাও কোথাও মরে গেছে

    • আওয়ামী লীগে এত ভিড় কেন?

    • জামায়াতের অপরাজনীতির কৌশল

    • চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ছেলুন জোয়ার্দ্দারের পক্ষে আলমডাঙ্গায় মতবিনিময়

    • দামুড়হুদায় ৪টি কসমেটিক্স দোকানে জরিমানা

    • শেষ হলো দর্শনায় ৩ দিনের বাউল ও লোকজ মিলন মেলা

    • আলমডাঙ্গায় দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতার মারামারি

    • কার্পাসডাঙ্গায় ৪৮ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদককারবারী আটক

    • জীবননগরের ক্যাপসিকাম ফসলের মাঠ দিবস পালন

    • মহেশপুরের চাপাতলা সীমান্তে নির্মান শ্রমিকের লাশ

    • দামুড়হুদায় ৬ ঘণ্টায় সড়কে লাশ হলো দু’জন

    • চুয়াডাঙ্গায় গরু চোরচক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

    • দামুড়হুদায় ডিবি পুলিশের হাতে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার-১

    • আলুকদিয়ায় মাদক, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে মতবিনিময় সভা 

    • চুয়াডাঙ্গায় সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় দলীয় ও স্বতন্ত্ররা

    • নারীর হাতে সমৃদ্ধ অর্থনীতি

    • শেখ হাসিনাতেই আস্থা তরুণ প্রজন্মের

    • বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ‘স্নায়ুযুদ্ধে’ দুই পরাশক্তি

    • আস্থা রাখছেন বিদেশীরা, আসছে পর্যবেকক্ষক

    • পরিচ্ছন্ন রাজনীতি ও সাধারণ মানুষের আস্থা

    • চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ইসির ফরম সংগ্রহ করলেন নঈম জোয়ার্দ্দার

    • চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা

    • আগামী নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ, প্রশাসন, বিজিবি ও র‌্যাবের মহড়া

    • এইচএসসি সমমানের ফলাফলে  চুয়াডাঙ্গায় এবার পাশের হার কমেছে

    • চুয়াডাঙ্গার বড়বাজার থেকে বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ গ্রেফতার-১

    • হ্যালো মান্ডে পর্ব- ৬৩ 

    • চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনে আনন্দ মিছিল-মিষ্টি মুখ

    • কানাইডাঙ্গায় পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ

    • বিভাগীয় কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সিয়ামকে সংবর্ধনা

    • আলমডাঙ্গায় শত্রুতার আগুনে ২৫ লাখ টাকার পাট পুড়ে ছাই

    • চুয়াডাঙ্গায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

    • চুয়াডাঙ্গায় পৌর ডিগ্রি কলেজে ফল বিপর্যয়

    • চুয়াডাঙ্গায় ছেলুন জোয়ার্দ্দার-টগরেই আস্থা

    • তারুণ্যের পছন্দ আওয়ামী লীগ

    • উৎসবের মেজাজেই হবে ভোট, ৯০ কূটনীতিককে জানাল বাংলাদেশ

    • রপ্তানিতে সরকারি প্রণোদনা ঔষধ শিল্পকে এগিয়েছে

    • স্বাস্থ্যসেবায় আয়ুর্বেদের অবদান ও প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    • ৮৫৫ টাকার স্যান্ডউইচ খেয়ে বকশিস দিলেন ৮ লাখ! অতঃপর…

    • ৮৫ কোটির ‘ডানকি’র মুক্তির আগেই আয় ১০০ কোটি!

    • ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাঁচাতে ভিলিয়ার্সের নতুন তত্ত্ব

    • এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ

    • আজ নৌকার প্রার্থী ঘোষণা

    • মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট, যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক গড়ে ওঠার শপথ নিলেন গাংনীর নতুন ভোটাররা

    • কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গান বিকৃত করায় চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন

    • চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগের খাবার-শীতবস্ত্র বিতরণ

    • চুয়াডাঙ্গায় পেশাদার চালকদের মানববন্ধন

    • নাটুদহে অপহরণের ২০ ঘণ্টার মাথায় বাড়ি ফিরলো দিনমজুর তরিকুল

    • চুয়াডাঙ্গায় শতাধিক ব্যক্তির অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

    • আজ থেকে পরিবর্তন হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মোবাইল নম্বর

    • দীর্ঘ ৫২ বছর পর আপন ঠিকানায় আওয়ামীলীগ

    • চুয়াডাঙ্গায় নদী-খালের মাটি বিক্রি যাচ্ছে ইট ভাটায়, ধোরাছোঁয়ার বাইরে মাটিখেকোরা

    • সংকটে পাশে নেই তারা

    • ভাল নেই চুয়াডাঙ্গা

    • চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচন: সাবেক-বর্তমান নয়, মেয়র হবেন নতুন মুখ

    • রেকর্ড উৎপাদন তবুও চুয়াডাঙ্গায় লোডশেডিং

    • উত্তাপ নেই নির্বাচনে….

    • অভিশপ্ত বেকারত্ব জয় করার উদাহরণ শারমীন…

    • চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ৬টি গাঁজা গাছসহ মাদকব্যবসায়ী আটক

    • বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ এর খুলনা বিভাগীয় উপ কমিটি ঘোষণা

    • গাংনীর চোখতোলা-ধর্মচাকী রাস্তার কার্পেটিংয়ে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ব্যবহারের অভিযোগ; কাজ শেষ না হতেই উঠে পড়ছে খোয়া

    • ‌‌‌‌‌‌নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে দেশসেরা পৌরসভা বানাবো: মেয়রপ্রার্থী টোটন

    • ভাল নেই মেহেরপুরের বাঁশের কারিগররা

    • এক সপ্তাহের মধ্যে ভাস্কর্যের সমস্যার সমাধান: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

    • জুম মিটিংয়ে খরচ ৫৭ লাখ : সচিবের লিখিত ব্যাখ্যা চাইলেন মন্ত্রী

    • দীপ্ত কৃষি ১০০০তম পর্বে  

    • আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ ফার্মেসীকে জরিমানা

    • শিগগিরই এইচএসসিতে ভর্তি শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    • দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভার নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি

    • করোনায় আক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি

    • গাংনীতে বেসরকারী সংস্থা মউকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    • আমরা অবিলম্বে ইব্রাহিমকে ফেরত দেওয়ার দাবি করছি। হিরা মনির ওপর

    • হলি আর্টিজানে হামলার ৪ বছর, নিহতদের ফুলেল শ্রদ্ধা

    • চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৭

    • চুয়াডাঙ্গায় পিকআপের ধাক্কায় পথচারী নিহত

    • ঢাকার পথে লতিফুর রহমানের মরদেহ

    • করোনা মোকাবিলা করতে পারেন নাই

    • ছাত্রদল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন

    • ৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদের আবেদন শুরু কাল

    • ২০২২ সালের জুনে চালু হবে পদ্মা সেতু: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

    • একদিনে আরও ৪১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৭৭৫

    • বাংলাদেশ সফরে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

    • চুয়াডাঙ্গায় শ্বাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পুত্রবধূর বিরুদ্ধে

    • শীতে মুখের সাথে পায়ের যত্ন নেয়াও জরুরি

    • ভাস্কর্য হবেই; যারা ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে: কাদের

    • মাস্ক পড়ে যত্ন নিবেন কিভাবে

    • করোনা শনাক্তে শনিবার থেকে ১০জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা

    • অবশেষে গ্রেপ্তার সাবরিনা, সাহেদ কোথায়?

    • দিল্লির উৎসবে ঢাকার পাঁচ ছবি

    • ছিন্নমুল মানুষের পাশে চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশন

    • মানববন্ধনে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের

    • দিল্লির চিঠি ভারতকে বাংলাদেশের কাছ থেকেও শিখতে হবে

    • ৫যুগ পর আপন ঠিকানায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগ

    • বিশ্বকাপ বাছাই: প্রথমার্ধেই ০-২ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ

    • জিয়ার আদর্শকে হত্যা করা যায়নি: রিজভী

    • করোনাকালে সুপ্রিম কোর্টের ৩৫ আইনজীবী মারা গেছেন

    • ক্রিকেটাররা ফিট আছেন, বিসিবিও খুশি

    • মধ্যেও ছাত্রদল, যুবদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে

    এডিটর ইন চিফ: জান্নাতুল আওলিয়া নিশি
    © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত আকাশখবর
    news.akashkhabar@gmail.com

    ই-পেপার ভার্সন দেখতে ক্লিক করুন  e-paper

    ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট - Akashkhabar

    Scroll
    অনুবাদ »