আলমডাঙ্গা অফিস:
মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের কার্যালয়ের সামনে শতাধিক গ্রামবাসী ভীড় করেন। তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর নানা অভিযোগ তুলে তার নিজ গ্রামবাসী অভিযোগপত্র দিয়েছেন। তারই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।
আলমডাঙ্গার সাহেবপুর গ্রামবাসির পক্ষে অভিযোগপত্র দিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম, জুবায়ের হোসেন ও লিটন আলী। জেলা প্রশাসক ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরে তারা অভিযোগপত্র প্রেরণ করেছেন। গতকাল অভিযোগের তদন্তের সময় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সাহেবপুরের শতাধিক গ্রামবাসি ভীড় করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার সাহেবপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী মেহেপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাকরী পার্শ্ববর্তী জেলায় হওয়ায় তিনি সরকারি ছুটির দু’দিন গ্রামের বাড়ি সাহেবপুরে অবস্থান করেন। বাড়িতে থেকে তিনি গ্রাম্য শালিসে অংশ নিয়ে প্রতিপক্ষকে নানাভাবে হয়রানি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রামবাসির পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বিষয়টির সুরাহা করতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ওপর তদন্তের দায়িত্ব দেন। গতকাল দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ তরিকুল ইসলামের পক্ষ-বিপক্ষের প্রায় শতাধিক গ্রামবাসি আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে হাজির হন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস বলেন, ‘আমার কাছে তদন্ত এসেছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাবো।