জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়ক দুর্ঘটনায় তাইজেল ইসলাম (৬২) ও মাহফুজ হোসেন (১৯) নামের দু’জন নিহত ও তিন জন আহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পেয়ারাতলা বাসস্ট্যান্ড ও গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উথলী মোল্লাবাড়ি নামক দুটি পৃথক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত তাইজেল ইসলাম জীবননগর উপজেলার পেয়ারাতলা গ্রামের মৃত দুধ মিয়ার ছেলে ও মাহফুজ হোসেন দর্শনা থানার রামনগর গ্রামের হাসিব হোসেনের ছেলে। এসময় আহত হয়েছেন জীবননগর উপজেলা রানা ও মধু নামের দুজন ও অপর দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দর্শনা থানার রামনগর গ্রামের জিনারুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান নয়ন (১৭)।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে চা পান শেষে আড়াই বছর বয়সের নাতি রাজিবকে ঘাড়ে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাইজেল ইসলাম। তিনি জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক পার হতে গেলে দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল তাদের ধাক্কা মারে। এতে মোটরসাইকেলের চালক রানা ও তার সহযোগী মধুসহ তিনজনই সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। পরে আহত অবস্থায় তাইজেল ইসলাম, রানা ও মধুকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাত ১টার দিকে তাইজেল ইসলামকে যশোর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মঙ্গলবার বিকালে নিহতের লাশ দাফন সম্পূর্ণ করেন। আর রানা বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে উপজেলার উথলী মোল্লাবাড়ী নামক স্থানে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা মিনি পিক-আপ ও জীবননগর থেকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দর্শনা থানার রামনগর গ্রামের মাহফুজ হোসেন (১৯) ও মাহমুদুল হাসান নয়ন (১৭) নামের দুজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাহফুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
জীবননগর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান বলেন, সোমবারের ঘটনার বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। আজকের (মঙ্গলবার) দুর্ঘটনার পর পিকআপটি ফেলে চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।